বিশেষ প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসে ১২৮ পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্টিত হবে আগামী কাল ২৯ মার্চ শুক্রবার। সাতক্ষীরা শহর ও এর আশপাশের ১৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৪ হাজার ২৯৪ জন পরীক্ষার্থী এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানাগেছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসে এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে মোটা অংকের অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ ধরনের অভিযোগ ভেসে বেড়াচ্ছে গত কয়েক দিন ধরে। কয়েকটি জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকায়ও এই নিয়োগ বানিজ্য বা নিয়োগ সিন্ডিগেট নিয়ে রিপোর্টও প্রকাশিত হয়েছে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি পাইয়ে দেয়ার নামে একটি নিয়োগ সিন্ডিগেট ২৫ লাখ টাকা এবং অন্যান্য পদে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা রফা-দফা চুড়ান্ত হয়েছে। যাদেরকে বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেয়া হবে তাদের কয়েক জনের নামও ওই রিপোর্টে পরিস্কার ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আর এই অভিযোগের তীর স্বয়ং নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা: সুফিয়ান রুস্তমের বিরুদ্ধেই। অভিযোগ উঠেছে ডা: রুস্তম নিজেই ওই নিয়োগ সিন্ডিগেট গড়ে তুলেছেন। সিভিল সার্জনের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই নিয়োগ সিন্ডিগেটের রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী, বহু অপকর্মের হুতা ,চরম বিতর্কীত আশেক নেওয়াজ।
এ ব্যাপারে ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকম অফিস থেকে বৃহস্পতিবার রাতে সিভিল সার্জন ডা: সফিয়ান রুস্তমের সাথে মুঠো ফোনে কয়েক দফা কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফোনটি বন্ধ ছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকমকে জানান, অভিযোগের বিষয়টি আমার নজরেও এসেছে। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষায় কোন ধরনের কারচুপি বা অন্য কোন ধরনের অনিয়ম হওয়ার সম্ভবনা একেবারেই নেই। নিয়োগ পরীক্ষার পশ্নপত্র তৈরী থেকে শুরু করে খাতা দেখা পর্যন্ত কঠোর নজরদারির ভিতর করা হবে। অভিযোগের বিষয় গুলো মাথায় রেখেই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে গ্রহন করেছি। এজন্য ৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। অভিযোগের প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি বলেন, ৫ সদস্যের নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি স্বাস্থ্য বিভাগের খুলনার বিভাগীয় পরিচালক। সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন এই কমিটির সদস্য সচিব। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধি থাকবে ওই নিয়োগ বোর্ডে।আমি বা আমার প্রতিনিধি যেহেতু ওই নিয়োগ বোর্ডে থাকবে বিধায় কোন ধরনের কারচুপির সুযোগ নেই।