নাজমুল আলম মুন্না ::
শুধুমাত্র বাচ্চা নস্ট না করার কারনে অন্তসত্তা স্ত্রীকে তালাক দিলেন রাজ হোটেলের মালিক শহরের মুনজিতপুরের মৃত গোলাপ গাজীর ছোট ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫৫)। সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের পুরাতন সাতক্ষীরার ডাঙ্গিপাড়া এলাকার ভ্যান চালক মুছা সরদারের মেয়ে রেজাউলের তৃতীয় স্ত্রী রেবেকা পারভীন অভিযোগ করে বলেন, তিনবছর আগে ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী আমাদের পারিবারিক ভাবে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক একলক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। সংসার চলাকালিন গত তিনমাস আগে আমি গর্ভধারন করি এতেই ক্ষিপ্ত হয় রেজাউল। তারকথা হলো কোন সন্তান নেয়া যাবেনা। অথচ প্রতিটি নারিই চায় মায়ের সাধ পাতি। আমার বাচ্চা হবে শুনে আমার মা আমারে বাড়ীতে আসতে বললে আমি গত ৬ মার্চ আসি। সেখানে ৮ দিনের মতো থাকাবস্থায় গত ১৪ মার্চ হটাৎ করে প্রথম এর ৩/৪ পর ২য় ও ৩য় তালাকনামা একসাথে পাঠায়। এতে আমি ভিশনভাবে হতভম্ব হয়ে পড়ি। বর্তমানে সে বিচারের আশায় বিভিন্ন দারে দারে ঘুরে কোন সুরাহ পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন। গত ২০ মার্চ রেবেকার মা হেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন বিনা কারনে রেজাউল আমার মেয়েকে তালাক দিছে আমি এর বিচার চাই।
এই অভিযোগের ঘটনা যাচাই করতে ২৬ মার্চ রাজ হোটেলের মালিক রেজাউলের সাথে সরাসরি কথা বলতে গেলে তিনি তালাকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিছি এতে আমার জেল ফাস যা হয় হোক আমি তোয়াক্কা করিনা। তবে ঐ স্ত্রীকে আমি আর ঘরে তুলবো না। বিয়ের সময় আমার কথা ছিল কোন সন্তান নেয়া যাবেনা অথচ আমার কাছে গোপন করে সন্তান ধারন করিছে এজন্য আমি তালাক দিছি। আপনি কি চতুর্থ বিয়ে করবেন প্রশ্নে রেজাউল বলেন আমি আর বিয়ে করবোনা কোনদিন তবে খারাপ যায়গা যাব আকাজ করবো তবুও বিয়ে করবো না। পেটে বাচ্চা থাকা অবস্থায় তালাক হয়না প্রশ্নে রেজাউল ঐদ্ধত্য কন্ঠে বলেন, হয় হোক বা না হোক আমি তালাক দিছি এডাই ফাইনাল।
এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।