কে এম আনিছুর রহমান ::
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী ডাঃ ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আবু তালেব হোসেন নামে এক রোগীর স্ত্রী সুফিয়া বেগমের মুখে থাপ্পড় মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে এ ঘটনা ঘটিয়েছে ওই ডাক্তার। আহত গৃহবধু উপজেলার ৩নং কয়লা ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের শেখ পাড়ার আবু তালেবের স্ত্রী।
আহত সুফিয়া বেগম জানান,গত কয়েকদিন আগে আমি আমার অসুস্থ্য স্বামী আবু তালেবকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করি। মঙ্গলবার ভোর রাতে আমার স্বামীর বুকে ব্যাথা শুরু হলে তাৎক্ষনিকভাবে নার্সদের ডাকা হলে তারা নিচে জরুরী বিভাগে ডাক্তার ডেকে নিয়ে আসার কথা বলেন । পরে জরুরী বিভাগে গিয়ে দেখা যায় ডাক্তার নেই। কিছুক্ষন পরে ডাক্তার ফরহাদ হোসেন আসলে তাকে তার স্বামীর বুকের ব্যাখার বিষয় জানানো হয়। এই সময় ডাঃ ফরহাদ
বলেন, আগে বলা হয়েছে, আপনারা অন্য জায়গায় নিয়ে যান। আপনারা কথা শোনেন না। আপনি চলে যান বলে ধমক দিতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার ও ডাক্তারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির মধ্যে আমাকে মুখে থাপ্পড় মারে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে রোগীর স্বজনদের আসার কথা জানতে পেরে ডাঃ তানভীর জাহান ও ডাঃ ফরহাদ হোসেন আত্মগোপনে চলে যান। গোপন সুত্রে জানা যায় ডাঃ ফরহাদ একজর নেসা গ্রস্থ
মানুষ এর আগেও এমন একটি ঘটনা ঘটিয়ে ছিলেন তিনি।
এ ব্যাপারে ডাক্তার ফরহাদ হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি বলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি।
এ আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শফিকুল ইসলাম জানান, কলারোয়া হাসপাতালের সুনাম আছে। কারোও দ্বারা সেটা নষ্ট হউক আমরা চাই না। ঘটনাটি সত্য হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবর রহমান বলেন, আমি হাসপাতালে এসে বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
##