ডেস্ক রিপোর্ট ::
আরমাত্র ক’দিন পরেই উদযাপিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সাতক্ষীরায় পড়েছে কেনাকাটার ধুম। শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ, যুব-বৃদ্ধ সবার জন্য ঈদের নতুন পোশাক কেনার ধুম পড়েছে। জুতা থেকে শুরু করে অঙ্গসজ্জার সব ধরণের উপকরণ কিনতে গ্রাম থেকে শহরে ছুটছেন মানুষ। চৈত্রের দাবদাহ উপেক্ষা করে শহরের বিপনী বিতানগুলোতে পরিলক্ষিত হচ্ছে উপচেপড়া ভীড়। সকাল ৯টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। এতে করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে দেখা দিচ্ছে যানজট। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে। বৃহস্পতিবার শহরঘুরে দেখা গেছে এমনই চিত্র।
সাতক্ষীরা শহরে যানযটের কারণে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পেশাজীবী, শ্রমজীবী, শিক্ষাীর্থী, ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ছে। ঈদ উপলক্ষে গ্রাম থেকে শহরে আসা মানুষের চাপে আরও বেশি যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে টানা যানজটে চলছে শহরের মেইন রোড়সহ অলি-গলিতে। যানযট সৃষ্টির হয় মূলত সাতক্ষীরা শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে খুলনা রোড় মোড় পর্যন্ত, জজকোট মোড় থেকে নিউ মার্কেট হয়ে হাটের মোড় পর্যন্ত, একই সাথে নিউ মার্কেট মোড় থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত। এছাড়া পিএন স্কুল মোড় থেকে বড় বাজার সড়কেও দেখা দেয় তীব্র যানজট। শহরের ভিতরের সড়কগুলিতে দেখা দিচ্ছে জনস্্েরাত। পাকাপুল মোড় থেকে পৌরসভা পর্যন্ত সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। সাতক্ষীরা দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ এই যানজট লাঘব করতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সড়কগুলো সংকীর্ণ হওয়ার কারণে এ যানজট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সাতক্ষীরা শহরের প্রধান সড়কটি টু-লেন কিম্বা ফোর লেন হলে যানজট থেকে রেহাই মিলতো বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, সাতক্ষীরা যানজট যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। শহরের অধিকাংশ সড়কগুলোতে দীর্ঘদিন যানজট দেখতে পাচ্ছি। যানজটের কারণে আমরা ব্যবসায়ীরা লোকশান গুনছি। সময়মত পরিবহনে পণ্য একস্থান থেকে আরেক স্থানে পৌছাতে পারছে না। যানযটের মূল কারণ সড়কে যানবাহন বৃদ্ধি পেয়েছে, সড়কের প্রস্থ কমেছে ফুটপাত জুড়ে দোকানপাট গড়ে উঠেছে। যানযটের বিশেষ কারণ হলো ঢাকাগামী পরিবহনগুলো সড়কের অধিকাংশ জায়গা জুড়ে পার্কিং করে। এ জন্য এই যানজট সৃষ্টির হচ্ছে। ট্রাফিকের সংখ্যা বাড়াতে হবে সাথে নজরদারি আনতে হবে। আমরা সাতক্ষীরাবাসী এই দীর্ঘ ভোগান্তির লাঘব চাই। তারা আরও বলেন-যানজট নিরসনে শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো টু-লেন থেকে ফোর লেনে রূপান্তরিত করা জরুরী।
নাগরিক নেতা আবুল হোসেন বলেন, প্রতিদিন সাতক্ষীরা শহরে যানযট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সকল শ্রেণীর পেশাজীবী মানুষকে। আমরা শহরবাসী যানযটের অবসান চাই।
পথচারী ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী বলেন, শহরের এসে যানজটের কবলে পড়েছি। শহরে এসেছি পরিবারের জন্য ঈদ কেনাকটা করতে। এসে বিপাকে পড়েছি। কেনাকাটা শেষ করতে হিমশিম খাচ্ছি। একস্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে লাগছে দীর্ঘসয়ম। গরমে রোজা থেকে দুর্ভোগে পড়েছি।
সাতক্ষীরা নাগরিক নেতারা বলেন, যানজট নিরসনে সুষ্ঠু পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটি কমিটি গঠন করা উচিত। এটা নিরসনে পদক্ষেপ দেখছি না। সড়কের পাশ জুড়ে অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাত জুড়ে দোকানপাট যানযটের মূল কারণ।