বি. এম. জুলফিকার রায়হান ::
বিজ্ঞ আদালতে চলমান মামলায় স্থিতাবস্থার আদেশ থাকার পরও তালার কলিয়া গ্রামে জমি জোর দখল চেষ্টাসহ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলাকালে ভাংচুর, লুটপাট ও ঝরনা খাতুন নামের এক ভুক্তভোগী নারীকে মারপিট করা হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
উপজেলার কলিয়া গ্রামের মৃত. খোদা বক্স মোড়লের মেয়ে ঝরনা খাতুন বলেন, কলিয়া বাজারের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ১৩ শতক জমি তার পিতার কাছ থেকে ক্রয় করে প্রায় ২৪ বছর ধরে ভোগ-দখল সহ সেখানে বসবাস করে আসছেন। এরইমধ্যে একই এলাকার বজলুর রহমান বিশ^াস গংদের সাথে তার উক্ত জমির মধ্যে বিআরএস ২২৫ খতিয়ানের, ১৪২৩ দাগের ৩ শতক জমি নিয়ে বিরোধ হয়। বিরোধের জেরে উক্ত জমির রেকর্ড সংশোধনের জন্য বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করা হয় যা’ চলমান আছে। এছাড়া বজলুর রহমান গংদের দফায় দফায় হুমকি এবং হামলার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা (২৮/২৪) দায়ের করা হয়। মামলায় বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত জমিতে কাজ বা জমির প্রকৃতি পরিবর্তন না করার আদেশ দেন। সেমতে তালা থানার এসআই আনিছুর রহমান গত ২৫ জানুয়ারী ২৪ তারিখে উভয় পক্ষকে লিখিত নোটিশ দিয়ে বিজ্ঞ আদালতের আদেশের বিষয়টি অবহিত করেন এবং আদালতের আদেশ মেনে চলার জন্য উভয় পক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের আদেশ ও তালা থানা পুলিশের নির্দেশনা অমান্য করে গত রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে বজলুর রহমান বিশ^াস গং ভাড়াটিয়া দূর্বৃত্তদের সাথে নিয়ে উক্ত জমি জোর দখলের জন্য হামলা চালায়। হামলাকালে দূর্বৃত্তরা জমির উপর থাকা ঝরনা খাতুনের গাছ কেটে সাবাড় করে এবং গৃহপালিত পশুর ঘর ভাংচুর করে। এসময় ঝরনা খাতুন বাঁধা দিতে এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
ঝরনা খাতুন জানান, হামলার সময় বিষয়টি জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে তালা থানা পুলিশকে ২ দফায় অবহিত করে সহযোগীতা চাইলেও রহস্যজনক কারনে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি। এসুযোগে দূর্বৃত্তরা দীর্ঘ সময় ধরে হামলা ও ভাংচুর সহ মালমাতি লুটপাট করে। এঘটনায় অসহায় ঝরনা খাতুন উর্দ্ধতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
###