পলাশ কর্মকার ::
গত বেশ কয়েক দিনের তীব্র তাপ প্রবাহের ফলে কপিলমুনি এলাকার জনজীবনে যেন নাভীশ্বাস উঠে গেছে। স্থবির হয়ে পড়ছে তাদের স¦াভাবিক জীবন যাপন। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে হাফিয়ে তুলেছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাস জুড়ে এরকম তাপ প্রবাহ চলমান থাকতে পারে। যেটা প্রাণী কুলের জন্য ভীষণ আতংকের খবর বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এমন তাপ প্রবাহ চলমান থাকলে বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও শ্রমজীবি মানুষের টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই বাড়ছে গরমজণিত রোগ বালাই। শিশু ও বয়স্করা জ্বর, ঠান্ডা-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। আখের রস শরবত, ডাবসহ বিভিন্ন ধরণের ফল ও ঠান্ডা পানি খেয়ে অনেকে গরম থেকে পরিত্রাণের চেষ্টা করছেন। কৃষকেরা মাঠে ধান গোছাত যেয়ে চরম কষ্ট ভোগ করছেন, রোদ্রে কাজ করতে পারেছন তারা। হাফিয়ে উঠছেন চাষী ও শ্রমিকরা। ধান কাটতে গিয়ে প্রচন্ড তাপে যখন জীবন ওষ্ঠাগত ঠিক তখন কাজ ছেড়ে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন, ফলে কাজের দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছেন তারা। তাপদাহের কারণে খাদ্যপন্য আমদানী রফতানি ব্যহত হচ্ছে। পচনশীল পন্য নষ্ট হচ্ছে। দিনের বেলায় বাজার এলাকায় লোক সমাগমও তুলনামূলক কম বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
রামনগর গ্রামের কৃষক আনার আলী বলেন, ভীষণ গরম পড়ছে, ‘আমার বয়সে এত গরম কোন বছর পড়তে দেখিনি। এই গরমে আমরা কৃষি কাজ ঠিকভাবে করতে পারছি না। রোদে আগুনের মত তাপ, তাই আমাদের শরীর পুড়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড এই গরমে কিভাবে ফসল ঘরে তুলবো সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। আমাদের কৃষক শ্রমিক যথা সময়য়ে কাজে আসছে না, ফলে ফসল তোলার জন্য শ্রমিক সংকটে ভুগছি। ’
শ্রীরামপুর গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক মিন্টু গাজী বলেন, আমরা বিল্ডিয়ের কাজ করি। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের কাজ করতে হয়। গত কিছুদিন ধরে যে রোদ গরম পড়ছে তাতে প্রচন্ড রোদ-তাপের সাথে যুদ্ধ করে আর কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। মাথা ঘুরছে, শরীর ঘেমে দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আগামী কয়েকদিন কাজ থেকে বিরতী নিতে হবে এমটাই ভাবছি।
##