গত কয়েকদিন ধরে “সমাজের আলো” নামের একটি অনলাইন ও ইয়ারব হোসেন নামের ফেসবুক আইডিতে আমাকে, আমার ভাইদের ও স্থানীয় কয়েকজন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে মিথ্যাচার করে চলেছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে একটি পক্ষের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মনগড়া কথা লিখে চলেছেন। এমনকি আমাদের সাথে জড়িয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের নামেও অপবাদ দেয়া হচ্ছে। যা দুঃখজনক, মানহানিকর। এমন বানোয়াট তথ্য দিয়ে সকলকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আমাদেরকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। আমি এমন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকৃত বিষয় হচ্ছে -আমি নজরুল ইসলাম, পিতা -মৃত রওশন আলী। গ্রাম- বাঁশদহা, থানা -সাতক্ষীরা সদর , জেলা সাতক্ষীরা। আমিসহ আমার ভাইয়েরা সাধারণ ব্যবসায়ী। বাঁশদহা বাজারে আমার কীটনাশক ও হার্ডওয়ারের ব্যবসা আছে। ব্যবসার সূত্র ধরে কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের মোঃ আতাউর রহমান ওরফে আতার ছেলে তুহিনের সাথে পরিচয় হয়। সে আমার দোকান থেকে নগদ ও বাকিতে মালামাল কিনতো। একপর্যায়ে তার কাছে আমার চার লক্ষাধিক টাকা পাওনা হয়। লেনদেনের মাঝে তুহিন আমাকে বলে আমিরুল ইসলাম নামের একজন আত্মীয় রয়েছে । তার বাড়ি-সদরের কাওনডাঙা গ্রামে। বাবার নাম-জয়নুদ্দীন সরদার। আমিরুল জেলার বাইরে বিভিন্ন ইটভাটায় লেবার সর্দারি করে। সে আমার ভাইয়ের ইটভাটায় সর্দারি কাজ করতে চায়। এজন্য তুহিনের সুপারিশে আমিরুলকে ২০২৩ সালে সাত লক্ষ টাকা দাদন দেওয়া হয়। আমিরুল তার নামীয় একাউন্টের একটি ব্যাংক চেক প্রদান করে। এরপর আমিরুল ইটভাটায় কোন লোক না দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ভাটায় অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি তুহিনকে বার বার জানানো হয় ও টাকার জন্য চাপ দিলে সে-ও গা ঢাকা দেয়। বিষয়টি আমিরুল ও তুহিনের পরিবারের সদস্যদের জানানো হলে তারাও পাত্তা দেয় না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারি,তারা বিনেরপোতা এলাকায় রয়েছে। একদিন বিকেলে তাদেরকে সেখানে খুঁজে পেয়ে ডেকে নিয়ে বাঁশদহায় আসি। এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে শালিসি বসি। শালিস চলাকালীন জানা যায়, আমিরুলের স্ত্রী সদর থানায় আমিসহ আমার ভাইদের নামে অপহরণের অভিযোগ করেছে। বিষয়টি জানার পর উপস্থিত শালিসদাররা আমাদের থানায় যেতে বলেন এবং সকলে থানায় যাই। সেখানে শালিসি বৈঠক হয়। বৈঠকে বিস্তারিত জানার পর সবার মধ্যস্থতায় আপোষ মিমাংসা হয়। আমিরুলের স্ত্রী তার লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে। এবং আমাদের পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করে। আমরা সবাই একসাথে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসি। এর একদিন পর থেকেই দেখি ওই অনলাইনে ও ফেসবুক আইডিতে আমাদের নামে স্বর্ণলুটসহ নানান ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে । আমাদের পাওনা লক্ষ লক্ষ টাকা না দিতে আমিরুল ও তুহীন এই ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ব্যবস্থা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নজরুল ইসলাম।
গ্রাম- বাঁশদহা, থানা -সাতক্ষীরা সদর