পলাশ কর্মকার ::
প্রচন্ড দাবদাহ, প্রাণীকূলে যেন হাঁসফাঁস অবস্থা। গরমের এই কঠিন সময়ে যেখানে মানুষ ঘরের বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন সেখানে দীর্ঘদিনের এক টানা গরমের এই তীব্রতার সাথে যেন যুদ্ধে নেমেছেন কপিলমুনি এলাকার কৃষকেরা। অসহ্য গরম উপেক্ষা করে ক্ষেত থেকে ধান কেটে দ্রুত বাড়ি নিয়ে গিয়ে ঝাড়াই-মাড়াই করে ফসল ঘরে তুলতে সময় পার করছে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির এলাকার কৃষকেরা। চলতি রোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক কৃষক । শেষ মুহূর্তে ঝড় বৃষ্টি না হলে আর বাজারে ধানের দাম ভালো পেলে লাভের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকেরা। গরমের তীব্রতা ভোগ করলেও এই মুহূর্তে ধান ঘরে তোলার স্বার্থে তারা বৃষ্টি কামনা করছেন না। তারা বলছেন, সারা বছর যেটা খেয়ে বেঁচে থাকবো সেটা দ্রুত ঘরে তোলাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কপিলমুনি এলাকার বিভিন্ন ফসলের মাঠে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ধান কাটা, আটি বাঁধা, বয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়া, ঝাড়াই-মাড়াই করে ঘরে তোলায় ব্যস্ত রয়েছেন কৃষক-কৃষাণীরা।
প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে দিন রাত পরিশ্রম করে চলেছেন এলাকার সমস্ত কৃষক। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত মাঠেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। সোনাতনকাটি গ্রামের কৃষক রহিম সরদার বলেন, এ পর্যন্ত ২ বিঘা জমির ধান কেটেছি, বাকি ধান আগামী সপ্তাহে কাটবো। তিনি আরও বলেন, উচ্চ ফলন শীল জাতের ধান আবাদ করায় এ বছর তিনি বিঘা প্রতি ২০ মন ধান ফলন পেয়েছেন।
কাশিমনগর গ্রামের কৃষক পরিমল দাশ বলেন, এবছর ধানের ফলন খুব ভালো। ১০ বিঘা জমিতে আবাদ করেছিলাম, প্রতি বিঘায় ২৫ মন পাবো আশা করছি। ৫ বিঘার ধান ইতোমধ্যে কাটা সম্পন্ন হয়েছে। বৃষ্টি-বাদল না হলে আর ৩-৪ দিনের মধ্যে হয়তো সব ধান ঘরে তুলতে পারবো। সব মিলে বলা চলে অন্যবছরের তুলনায় এবছর ফলন ভালো ও লাভজনক।
##