শেখ মাহবুব আহমেদ ::
সাতক্ষীরায় ৫টি ট্রাক ও দুটি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান ভর্তি রাসায়নিক মিশ্রিত ৭২০ কেজি আম ও ক্ষতিকর জেলি পুশকৃত ৪০৯ কেজি বাগদা চিংড়ি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় এসব আম ও চিংড়ি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছিল। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান চালায়।
শনিবার (১১ মে) সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অসিত কুমার সরকার ভয়েস অব সাতক্ষীরাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকা এসব আম ও চিংড়ী জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় দুই চিংড়ি ব্যবসায়ি ও এক আম ব্যবসায়ির কাছ থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
জরিমানা প্রদানকারী ব্যবসায়ীরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার বুরাখাড়াটি গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফের ছেলে মিলন মাহমুদ, একই উপজেলার দরগাহপুর গ্রামের আব্দুর রহমান মোড়লের ছেলে জাহিদ হোসেন ও সাতক্ষীরা শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার ফজলু সরদারের ছেলে আম ব্যবসায়ী শাহিন সরদার।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অসিত কুমার সরকার ভয়েস অব সাতক্ষীরাকে জানান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আশাশুনি মৎস্যকাটি থেকে আসা ৫টি ট্রাক ও ২টি ইঞ্জিনভ্যান শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকা থেকে জব্দ করা হয়। এরপর জব্দকৃত ট্রাকগুলো থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ১৭ ক্যারেট জেলি মিশ্রিত বাগদা চিংড়ি এবং ৩১ ক্যারেট রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত আম জব্দ করা হয়। জব্দকৃত চিংড়ির ওজন ৪০৯ কেজি এবং আমের ওজন ৭২০ কেজি।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চিংড়ি ব্যবসায়ী মিলন মাহমুদের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা, জাহিদ হোসেনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং আম ব্যবসায়ী শাহিন সরদারের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকাসহ তিন জনের কাছ থেকে মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জরিমানা শেষে জব্দকৃত আমগুলো ট্রাকের চাকায় পিষে এবং চিংড়িগুলো পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
তিনি আরো জানান, সাতক্ষীরার আম ও মাছের সুখ্যাতি রক্ষার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
##