স্টাফ রিপোর্টার ::
চলমান উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে প্রশংসিত হয়েছে সাতক্ষীরার পুলিশ। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী’র সুদক্ষ নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় প্রথম ধাপে গত ৮ মে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলায় এবং ২য় ধাপে ২১ মে তালা, আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনগুলিতে প্রত্যেকটি পুলিশ সদস্য সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছেন। উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করায় বিভিন্ন মহলে পুলিশের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। এমনকি পরাজিত প্রার্থীরাও নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকার জন্য সুপারকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। এসব নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকায় সাধারণ ভোটাররাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এমনকি নির্বাচন পরবর্তী সময়েও শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনকালীন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সবকটি নির্বাচনে পুলিশ সুপার নিজে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের উৎসাহ প্রদান করেন তাদের সার্বিক সুবিধা অসুবিধা নিজে তদারকি করেন।
নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে তালা, আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে আশাশুনি উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দু’জন শক্তিশালী প্রার্থী ছিল। একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মোস্তাকিম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, এস এম শাহনেওয়াজ ডালিম। তাদের মধ্যে আগে থেকেই রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল। দুইজন শক্তিশালী প্রার্থী হওয়ায় এ বি এম মোস্তাকিম চিংড়ী মাছ প্রতীক নিয়ে ৫১ হাজার ৬৬২ ভোট এবং এস এম শাহনেওয়াজ ডালিম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫০ হাজার ৭০৭ টি ভোট পান। দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান মাত্র ৯৫৫ ভোট। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধের জের হিসেবে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষেরঘটনা ঘটে। সংগঠিত ছোট বড় সকল ঘটনা পুলিশ সুপার অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে অপরাধীদের তাৎক্ষনিক গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করার ব্যবস্থা করান। এমনকি প্রত্যেকটি ছোটখাটো ঘটনার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছেন। এসব ঘটনায় ১১টি মামলা রুজু হয়েছে। এসব মামলায় ২৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান, আশাশুনি উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ২৯ মে সদর ও কলারোয়া উপজেলার নির্বাচন রয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করবে। কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবেনা বলে মন্তব্য করেন তিনি।