শেখ মাহবুব আহমেদ ::
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার সকাল থেকে সাতক্ষীরায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট পানি বেড়েছে। শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে ১৮৭টি সাইক্লেন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮ শতাধিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা। একই সঙ্গে সাতক্ষীরা জেলাকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা আশাশুনির মাছ ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কখন কি হয় কিছু বুঝতে পারছি না।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, ঘুর্ণিঝড় রেমালের কারণে সাতক্ষীরা জেলাকে ১০নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ও দুপুরের পরে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এম সালাউদ্দীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট পানি বেড়েছে। শ্যামনগরকে ঘিরে থাকা উপকূল রক্ষা বাঁধের প্রায় ১২৯ কিলোমিটারের মধ্যে সাত থেকে আটটি পয়েন্টের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ। মাটি ফেলে উচ্চতা বৃদ্ধিসহ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে বাঁধের ভাঙন ও ধস ঠেকানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, শ্যামনগর ও আশাশুনি এই দুটি উপজেলা সুন্দরবন উপকূলবর্তী। জেলায় মোট ১৮৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৮ শতাধিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি ত্রাণ, নগদ টাকা, সুপেয় পানি মজুত রাখা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য কয়েকদিন ধরে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।