বিশেষ প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, সদ্য বদলির আদেশপ্রাপ্ত ডা: শীতল চৌধুরীকে প্রায় ২ ঘন্টা তার অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে মেডিকেল কলেজের ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। দায়িত্ব হস্তান্তর করতে কালক্ষেপন করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাকে অবরুদ্ধ করে বলে জানাগেছে।
ডা: শীতল চৌধুরীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের কারনে তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সম্প্রতি ওএসডি করা হয়েছে।
জানাগেছে, গত ১ জুলাই রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের সহকারী পরিচালক এম. কে. হাসান জাহিদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: শীতল চৌধুরীকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি করা হয়। তার স্থলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা: শেখ কুদরত-ই-খোদাকে বলদি বা দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ডা: শেখ কুদরত-ই-খোদা বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্ব বুঝে নিতে গেলে ডা: শীতল দায়িত্ব বুঝে না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। বিষয়টি জানার পর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে ডা: শীলত চৌধুরীর অফিস কক্ষের সামনে এসে জড়ো হয়। তারা দাবি জানাতে থাকে দায়িত্ব হস্তান্তরের। ডা: শীতলকে তারা অবরুদ্ধ করে রাখে বেলা ১২ টা পর্যন্ত। ছাত্র-ছাত্যীদের অভিযোগ দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ডা: শীতল চৌধুরী নানা অনিয়ম, দুর্নীতির পাহাড় গড়েছেন। প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই তিনি হাসপাতালে নিয়োগ বানিজ্য থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম করেছেন। তারা এসব অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত দাবি করে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী, মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রায়হান কবীর বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ডা: শীতল চৌধুরী নানা অনিয়ম -দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি হাসপাতালের সামনে অবৈধ পস্থায় সাইকেলশেড নির্মান করে তা লীজ দিয়েছেন। লীজের টাকা কোথায় জমা হয় তা কেউ জানে না। তার এসব অনিয়ম , দুর্নীতির কারনে গত ১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি করা হলেও তিনি সেখানে না গিয়ে পরিচালকের পদ আকড়ে ধরে রেখেছেন। আরও এক সপ্তাহ পর দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। দায়িত্ব থাকাকালীন তিনি যেসব অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন তা ধাঁমাচাপা দেয়ার জন্য অফিসের কাগকপত্র প্রস্তত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ ডা: শীতল চৌধুরীর দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি করছি।
এ ব্যাপারে ডা: শীতল চৌধুরী বলেন, আমাকে ওএসডি করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আমি দায়িত্ব হস্তান্তর করবো। তবে কয়েকদিন সময় লাগবে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: রুহুল কুদ্দুস বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বদলি আদেশে কেউ উপেক্ষা করতে পারবে না। তাকে এ আদেশ মানতে হবে। তবে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে দুই-এক দিন সময় লাগতে পারে।
###