ডেস্ক রিপোর্ট ::
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। গ্রামগুলোর অনেক দরিদ্র, অসহায় মানুষ যারা পায়ে হেঁটে তিন কিলোমিটার দূর থেকে বাঁকে করে পানি সংগ্রহ করে। ফলে এই দারিদ্র্য অসহায় মানুষের দিনের বড় একটি অংশ নষ্ট করতে হচ্ছে পানি সংগ্রহের কাজে। অনেকেই আবার দলিত শ্রেণীর মানুষ যারা ততটা সচেতন না তারা আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে ফলে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকে এখন আমাশা, জন্ডিস, পেটের অসুখসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আস্তে আস্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। গ্রামের অক্ষরজ্ঞানহীন কিছু মানুষ আবার এটাও বিশ্বাস করে যে, টিউবওয়েল এর পানি বাবা দাদারা খেয়েছে কিছু হয়নি,আমরা ও খাব আমাদেরও কিছু হবে না।
তথ্যসূত্রে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় লাবসা ইউনিয়নে ১৭টি গ্রামে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বসবাস করে এর মধ্যে দেবনগর, মথুরাপুর, থানাঘাটা, নলকুড়া, লাবসা ও মাগুরার কিছু অংশের মানুষ সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। এই গ্রামগুলিতে ১৭ হাজার মানুষের বেশি বসবাস করে। এখানে গভীর নলকূপ হয় না। আর অত্র এলাকায় টিউবওয়েল গুলো আছে সেগুলোই সবই আর্সেনিকযুক্ত। অত্র এলাকার মানুষ এই পানি পান করছে এবং অতি সহজে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।দেবনগর গ্রামের মাওলার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি খেজুরডাঙ্গা থেকে পায়ে হেঁটে প্রতিদিন বাঁকে করে পানি সংগ্রহ করি। পানি সংগ্রহ করতে আমার প্রতিদিন দেড় ঘন্টা সময় লাগে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম বলেন,আমাদের আমাদের সাতক্ষীরাতে ঢাকা বুয়েটের সমন্বয়ে একটি কার্যক্রম চলছে যার মাধ্যমে আমরা নিকটতম সুপেয় পানির উৎস থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হবে।