আর.কে.বাপ্পা, দেবহাটা ::
দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের ২ সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দ। লিখিত বিবৃতিতে সভাপতি আর.কে.বাপ্পা ও সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক মুকুল জানিয়েছেন, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের পূর্বের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় একটি সহকারী অধ্যাপক ইয়াছিন আলীকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সকলের মতামতের ভিত্তিতে গঠন করা হয়। আহবায়ক কমিটি গত ৫ জুলাই, ২০২৪ ইং তারিখে এক সাধারন সভা আহবান করে। সভায় ২০ জন সদস্যের উপস্থিতিতে সকলের স্বাক্ষর, মতামত ও পরামর্শে আহবায়ক কমিটি একটি কমিটি গঠন করে। যেটা রিপোর্টার্স ক্লাবের রেজুলেশন খাতায় সংরক্ষিত আছে। কমিটিতে আর.কে.বাপ্পাকে সভাপতি ও ওমর ফারুক মুকুলকে সাধারন সম্পাদক করে কমিটি ঘোষিত হলে পূর্বের কমিটির দুই একজন যারা নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখে তারা এ কমিটি মানেনা বলে সভাস্থল ত্যাগ করে। অথচ তারা সকলের প্রতি আস্থা রেখে রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে তারা তার পরের দিন অর্থ্যাৎ ৬ জুলাই অহিদুজ্জামান সভাপতি ও রফিকুল ইসলাম সাধারন সম্পাদক হয়ে এক মনগড়া কমিটির ঘোষনা দিয়ে একটা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। এখানে মজার বিষয় হচ্ছে, তারা যাদের নাম দিয়ে কমিটি ঘোষনা দেই তাদের অধিকাংশ এই বিষয়ে অবগত থাকেনা। যার কারনে উক্ত সদস্যরা অহিদ ও রফিকুলকে তিরস্কার করে আর.কে.বাপ্পা ও ওমর ফারুক মুকুলের কমিটিতে চলে আসে। একারনে অহিদ ও রফিকুল একেকদিন একেকজনকে ভিন্ন ভিন্ন পদ দিয়ে কমিটি দিয়ে তারা নিজেরাই বিভ্রান্তিতে পড়ে আর মানুষ হাসায়। পরে রিপোর্টার্স ক্লাবের ২২ জুলাই, ২৪ ইং তারিখে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয় এবং যারা গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ড করছে তাদের সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করে মজনুর রহমান, রুহুল আমিন মোড়ল ও রিয়াজুল ইসলাম আলমকে সদস্য করে তাদের সাথে আলোচনা করার জন্য উপকমিটি গঠন করা হয় যেটা রেজুলেশনে সংরক্ষিত। অহিদ ও রফিকুলের সদস্যপদ স্থগিত থাকার কারনে রিপোর্টার্স ক্লাবের ক্যালেন্ডারে তাদের নাম দেয়া হয়নি। পরে ২৮ সেপ্টেম্বরের সভায় ঐ উপকমিটির মতামত ও সদস্যদের পরামর্শে অহিদুজ্জামান ও রফিকুলকে বহিষ্কার করা হয়। প্রতিটি কর্মকান্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র মেনে করা হয়েছে। এখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত আছে। কারো ব্যক্তিগত স্বার্থে প্রতিষ্টান ব্যবহার হতে দেয়া হবেনা। রিপোর্টার্স ক্লাবের চাউল উত্তোলনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে খোঁজ নিলেই জানা যাবে কে বা কারা স্বাক্ষর করে নিজের ছবি দিয়ে চাউল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে যেটা ঐ অফিসে প্রমান আছে। এর সাথে অহিদুজ্জামান ও রফিকুল জড়িত। তাই এধরনের হাস্যকর বিভ্রান্তিতে না পড়ার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
##