স্টাফ রিপোর্টার ::
কলারোয়ায় মড়কে অসংখ্য ছাগলের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর্থিক ক্ষতি হ্রাসে চাষীরা পানির দরে ছাগল বিক্রি করে দিচ্ছে। জানা গেছে, কলারোয়ার ১৪৩টি গ্রামে প্রায় ৪০হাজার পরিবারে লক্ষাধিক ছাগল লালন পালন করা হয়। এসব ছাগলের মূল্য আনুমানিক অর্ধশত কোটি টাকা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে গ্রামের পাড়ায়-পাড়ায় মাইকিং করে পিপিআর ভ্যাকসিন প্রদান করেছেন। এই ভ্যাকসিন প্রদানের পর গেল কয়েক সপ্তাহের বেশি সময় কলারোয়ার বিভিন্ন গ্রামে ছাগলের মড়কের প্রার্দুভাব ঘটেছে। প্রথমে গলাফুলার পরে ছাগলের পাতলা পায়খানা শুরু হচ্ছে।
এর ১ বা ২দিনের মধ্যে ছাগল মারা যাচ্ছে। উপজেলার শতাধিক গ্রামে ছাগলের এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। কোন কোন পাড়ার ঘরে ঘরে এই রোগে ছাগল মারা যাচ্ছে। কোন কোন পরিবারে ৫/৬টা পর্যন্ত ছাগল মারা গেছে।
উপজেলার উত্তর সোনাবাড়িয়ার জাকির, মান্নান, সিরাজুলসহ শতাধিক বাড়ির ২শতাধিক ছাগল, দক্ষিণ সোনাবাড়িয়া মাহিদ, আরিজুল, ইয়াসিন, আত্তাপ, জব্বার, খালেকসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তির প্রায় ২শ’ ছাগল, বোয়ালিয়ার মোকছেদ, সাইদুর, তাহেরসহ শতাধিক বাড়িতে ২শতাধিক ছাগল মারা গেছে।
এছাড়া বলিয়ানপুর, বহুড়া, মাদরা, কুশোডাঙ্গা, কয়লা, সিংহলাল, মুরারীকাটি, তুলসীডাঙ্গা, ঝিকরা, গদখালী সহ কলারোয়ার শতাধিক গ্রামে ছাগল মারা যাচ্ছে। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। ছাগলের চিকিৎসায় মানুষ গ্রামের প্রাণী চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হচ্ছে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি গ্রাম্য প্রাণী চিকিৎসকরা শতশত রোগাক্রান্ত ছাগল চিকিৎসা করে বেড়াচ্ছে। ছাগল প্রতি ৪/৫শ’ টাকা ব্যয় করেও শেষ পর্যন্ত ছাগল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। গণহারে ছাগলের মৃত্যু দেখে অনেক চাষী সুস্থ্য ছাগল বা গলাফুলার আলামত দেখা মাত্র ছাগল বিক্রি করে দিচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা অসহায়ায় চাষীদের ছাগল বিক্রির তাড়া দেখে পানির দরে ছাগল ক্রয় করছে।
এ ব্যাপরে নবাগত কলারোয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছাগলের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ল্যাব টেস্টের রির্পোটের পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।