# শীতে জবুথবু শিশু ও বৃদ্ধ
# ছিন্নমূল মানুষের চাহিদা মোটা কাপড়
॥ পলাশ কর্মকার ॥
শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে কপিলমুনিতে ভিড় জমেছে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে এক একটি কাপড়ের দাম বেড়েছে ৮০ থেকে ১০০টাকা। শীতকে কেন্দ্র করে কপিলমুনির ধান্যচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় ২০-২৫টি মৌসুমী গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। এসব দোকানে নি¤œবিত্ত বিশেষ করে দিনমজুর পরিবারগুলোর পাশাপাশি নি¤œমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও ভিড় জমাচ্ছেন পছন্দের পুরাতন গরম কাপড় কেনার জন্য। পৌষের শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা বাড়া-কমার খেলা চলছে। সন্ধ্যার পর থেকেই ঘন কুয়াশায় আছন্ন হয়ে পড়ছে এলাকা। কুয়াশার সাথে সাথে শুরু হয় মৃদমন্দ শীতল বাতাস। ফলে নি¤œ আয়ের পরিবারগুলো শীতে কাহিল হওয়ার ভয়ে শীতবস্ত্র কেনার জন্য ভীড় জমাচ্ছেন এইসব দোকান গুলোতে।
শীতের কারণে শুরু হয়েছে ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন প্রকার রোগব্যাধী। এসব শীত জনিত ব্যাধিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন বৃদ্ধ ও শিশুরা। উপ শহরের নামিদামী বিপণী বিতাণগুলোতে গরম কাপড় কেনার সামর্থ না থাকায় নি¤œবিত্ত পরিবারের লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন ধান্যচত্ত্বর, মসজিদের পাশে বাইপাস সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে গড়ে ওঠা পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে; যা নিকছন মার্কেট নামে পরিচিতি পাচ্ছে। এসব ক্রেতাদের ভিড়ে দোকানগুলো সরগরম হয়ে ওঠেছে। সবাই যেন মনের আনন্দে কিনছেন পছন্দের পুরনো শীতবস্ত্র। স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, কোর্ট, প্যান্ট, কানটুপিসহ বিভিন্ন প্রকার শীতবস্ত্র। পাশাপাশি অভিজাত শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতেও ভিড়ের কমতি নেই। কথা হয় ভ্যান চালক হাসান আলী, দিনমজুর সাত্তার ও আব্বাস আলীর সাথে। তারা জানান, এসব পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলো থেকে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার মধ্যেই মোটামুটি ভালো মানের শীতের পোশাক কেনা যাচ্ছে। এসব গরম কাপড় পাওয়া না গেলে আমাদের মতো গরীব মানুষরা শীতের মোটা কাপড় কিনতেই পারতো না। ফুটপাতের পুরতন গরম কাপড় বিক্রেতা শহর আলী গাজী, আব্দুর রাজ্জাক, শরিফুল ইসলাম, আয়ুব আলী, রিজায়ুল, শাহিন, আরশাদ, হোসেন আলী, ইসলামসহ অনেকে জানান, শীতকে সামনে রেখে আগে ভাগেই সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে গরম কাপড়ের বেল (বান্ডেল) আমদানী করা হয়েছে। প্রথম দিকে ক্রেতা না মিললেও পৌষের শুরুতে শীত বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ায় বেচাকেনা মোটামুটি বেড়ে গেছে। তবে এক সপ্তাহ আগের দামের চেয়ে প্রতিটি কাপড়ের দামও বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০টাকা কোন কোন ক্ষেত্রে তা ২০০টাকা পর্যন্ত ঠেকেছে।