নাজমুল আলম মুন্না ::
সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১১ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি।
পিবিজিএম, পিএসসি, জি পরিচালক ও সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনস্থ গাজিপুর, তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা, ঝাউডাঙ্গা, মাদরা বিওপির সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যসহ এগারো লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মালামাল আটক করে। তিনি আরও জানান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গাজিপুর বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৫/১৩ এস হতে আনুমানিক ২শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেড়িবাধ নামক স্থান হতে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। তলুইগাছা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩ এস এর ২ আরবি হতে আনুমানিক ৪শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেড়াগাছি খাল নামক স্থান হতে ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধসহ ১ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল আটক করে।কাকডাঙ্গা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ১৩/৩ এস এর ৬ আরবি হতে আনুমানিক ৪শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রাজ্জাকের মোড় নামক স্থান হতে ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। ঝাউডাঙ্গা বিশেষ ক্যাম্পের আভিযানিক দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঝাউডাঙ্গা পাকা রাস্তা নামক স্থান হতে ২ লক্ষ ১০ টাকা টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। এছাড়া মাদরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ১৩/৩ এস ৯ আরবি হতে আনুমানিক ২শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভাদিয়ালী আম বাগান নামক স্থান হতে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
সর্বমোট ১১ লক্ষ ১০ হাজার ৪শ টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে।চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন ও যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।