অনলাইন ডেস্ক ::
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জামানউদ্দিন টুটুলকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আরেফিন বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলা নম্বর ১৯। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক খালিদ মঞ্জুর রোমেল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রন্জু ও তাদের সহযোগী দেবু। এ ছাড়া আরও চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার যুগিবাড়ি এলাকায় নদীর মাটিকাটা নিয়ে বিরোধের জেরে জামানউদ্দিন টুটুলের ওপর হামলা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, রোমেল দা দিয়ে টুটুলের মাথায় কোপ দেন এবং রন্জু শাবল দিয়ে আঘাত করেন। তাদের সঙ্গে দেবুসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। গুরুতর আহত টুটুলকে প্রথমে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথায় তিনটি সেলাই দেওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলারোয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অপহরণ, লুটপাটসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে রোমেল-রন্জু বাহিনী। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এবং বাসাবাড়ি লুট, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ে। মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গেও তারা যুক্ত।
রোমেল বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ভাগনে, আর রন্জু কলারোয়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক তাওফিকুর রহমান সন্জুর বড় ভাই। তবে বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব ভাগ্নের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিরক্ত এবং থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ওসি শামসুল আরেফিন বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে, যদিও তারা ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন। আগেও তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ ছিল।