পলাশ কর্মকার, কপিলমুনি ::
এই রাস্তায় ভীষণ ভীড়, যাওয়া আসা করার-জো নেই, এরকম সমস্যা অনেক দিন ধরে চলছে, কিন্তু দেখার কেউ নেই। এমন কথা বলতে বলতে গতকাল দুপুরে বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে কপিলমুনি জাফর আউলিয়া সড়ক দিয়ে বাড়ী অভিমুখে যাচ্ছিলেন ৭৫ বছর বয়সী করিম বিশ্বাস।
এই সড়কটিতে যানযটের চিত্র প্রতিদিনকার। প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় এর ভয়াবহতা আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। জনগুরুত্বপূর্ন এই সড়ক দিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী যাতায়াত করে থাকে। শুধু সরকারের রাজস্ব খাতের একটা বড় অংশ আসে বাগদা চিংড়ীর খাত থেকে, আর এই চিংড়ী উৎপাদন হয় গোয়াল বাথান তালতলা, বকুলতলা, শ্রিফলতলা, ধোনার দোয়ানিয়া, খলসিখালী, হাউলী, কামার আবাদ, পুটিমারী, আমড়াতলা, সহ এ অঞ্চলের উৎপাদিত বাগদা চিংড়ী এই সড়ক পথে বহন করে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই এলাকায় অবস্থিত হওয়ার কারণে এই সড়কের গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে। পোষ্ট অফিস, কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদ, অগ্রনী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বড় বড় ব্যবসায়ী মার্কেট, কপিলমুনি ডিগ্রী কলেজ, বিভিন্ন এন জিও প্রতিষ্ঠান, রেন্ট এ কারের গ্যারেজ সহ বিভিন্ন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। আর এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী সহ এ সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্টদের যাতায়াত এই সড়ক দিয়ে।
স্থানীয়রা জানান, ভ্যান, মটর ভ্যান রাখার নির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় এই সড়কের দু’ধারে সারিবদ্ধ ভাবে রেখে সড়কটি সংকুচিত করে রাখে যে কারনেই পিকাপ, মাইক্রো, প্রাইভেটকার এ সড়কে প্রবেশ করলেই শুরু হয় যানযট, আর এই যানযটের কবলে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে পড়ে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। এছাড়া মুমূর্ষ রোগী বহনকারী গাড়ী আটকে থাকার ফলে অনেক রোগী লক্ষ্য স্থানে পৌছানোর আগেই মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে ভ্যান চালকরা এ সড়কের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে ভ্যানের উপর বসে থাকে, সরানোর কথা বললেও যখন কোন কথায় কর্নপাত না করে তখনই বাধে বিপত্তি, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা এ যেন নিত্যদিনের চিত্র। তাছাড়া ছোট খাট দূর্ঘটনা তো লেগেই থাকে। এই সড়কটিতে ভ্যান, মটর ভ্যান অপসারণ করে প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট যানযট মুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভূগী মহল।
##