॥ পলাশ কর্মকার ॥
খুলনার কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ আলী সাবেক সচিব ও ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম তুলে ধরে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রবিবার দুপুর ১ টায় ইউপি ভবনের কক্ষে কয়েক জন মেম্বরের উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ আলী বলেন, কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ গণি গাজী কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে নানা দূর্নীতি-অনিয়মের প্রতিবাদ ও পরিষদের আয়-ব্যায়ের হিসাব চাওয়ায় আমিসহ আমার পরিষদের সকল সদস্য-সদস্যাদের বিরুদ্ধে অসদাচারণ ও নানা বানোয়াট অনিয়মের অভিযোগ করেন। এমনকি পরিষদে ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের সাথে খারাপ আচারণ শুরু করেন। তাদের সেবা দেওয়ার কথা বলে অর্থ লেন-দেন শুরু করেন। খাল খনন বাবদ ৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা আমিসহ আমার পরিষদের ৩ সদস্য কোন কাজ না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে, প্রকৃত পক্ষে আমি কিংবা আমার অভিযুক্ত সদস্যদের কাউকে না জানিয়ে চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করে আমাদের উপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। অভিযোগে ২৭/১১/২৪ তারিখে প্রতাপকাটি দঃ পাড়া মসজিদ সংস্কার বাবদ ও হাউলী পূর্বপাড়া জামে মসজিদ বাবদ ৫১ হাজার টাকা সচিবের কাছ থেকে আমার স্বাক্ষর করে টাকা গ্রহনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে মসজিদের নামে কোন বরাদ্দই দেওয়া হয়নি। তাই টাকা গ্রহনের প্রশ্নই আসেনা। গত ৭/১২/২৪ তারিখে ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের টাকা হতে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, সরকার প্রদত্ত ৬০টি পানির ট্যাংকি বাবদ টাকা উত্তোলনের বিষয়গুলিও সঠিক নয়।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক মুহাম্মদ ইউনুছ আলী আরো বলেন, আমার অনুগত ইউপি সদস্য বিশেষ করে ২নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে স্কুলের গাছ বিক্রি ও টিআর প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে, যা ভিত্তিহীন। গাছ বিক্রি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলীর তত্ববধায়নে অভিযোগকারী হালিম মোড়ল। মূলত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করতে একের পর এক মনগড়া তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। উপরোক্ত অভিযোগ সমূহ তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হয়েছে।