এস কে হাসান ::
আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা বাজারের ওয়াবদার বাঁধ ভাঙ্গনের ১০ দিন অতিবাহিত হলেও ভাঙ্গন রক্ষার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
গোয়ালডাঙ্গা বাজারের ওয়াবদা বাঁধে গত ১০ দিন পূর্বে ভাঙ্গন শুরু হয় এবং প্রায় ৪০০ ফুট ভেঙে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তখন ভাঙ্গনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছিল। সেই ফাটল গুলোও ভাংতে ভাংতে আরো ৫০০ ফুট রাস্তা ভেঙে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ না করলে আগামী পূর্ণিমার জোয়ারে সম্পুর্ণ বাঁধ ভেঙে লবণ পানি ঢুকে বড়দল, খাজরা ও আনুলিয়া ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে। হুমকীর মুখে পড়েছে গোয়ালডাঙ্গা বাজারেরট ৩৫০ থেকে ৪০০ দোকান। বাজারের নির্মাণাধীন চান্নি সেট, আল আকসা জামে মসজিদ, পার্শ্ববর্তী জামে মসজিদ, ইসলামী ব্যাংক, ফকিরবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ তিন ইউনিয়নের কয়েক হাজার বিঘা জমির বোরো ধান ও শত শত বিঘা জমির তরমুজ চাষ সহ বহু মৎস্য ঘের।
উল্লেখ্য গত বছর মরা মরিচ্চাপ নদী খননের পর বছর না যেতেই দেখা দিয়েছে এ ভয়াবহ ভাঙ্গন। গত মঙ্গলবার আশাশুনি সদরে মানিকখালী চরে ও বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা বাজার মরিচ্চাপ নদীর বেড়ী বাঁধ ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আশিকুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন। পরিদর্শনকালে এসও আশিকুর রহমান বলেন, এটি পাউবোর রাস্তা না। এ রাস্তাটা নদী খননকৃত মাটি তবুও এটি নদী রক্ষা বাঁধ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জরুরি ভাবে জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ করে আটকানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।