ডেস্ক রিপোর্ট ::
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে চাচার লাঠির আঘাতে ইউনুস গাজী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বিকেলে আহত অবস্থায় তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল।
নিহত ইউনুস গাজী উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মশাসন গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যৌথ মালিকানাধীন পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় রুহুল আমিনের লাঠির আঘাতে ইউনুস আহত হন। পরে স্বজনরা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের ভাই খোকন গাজী বলেন, রুহুল আমিন, আদম আলী ও তার পিতা মোহাম্মদ আলীর যৌথ মালিকানাধীন একটি পুকুর রয়েছে। বিগত দিনে একই বিষয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তার ভাই ওই পুকুরে মাছ ধরতে গেলে চাচা রুহুল আমিন বাধা দেন। বাদানুবাদের এক পর্যায়ে তার চাচা রুহুল আমিন ইউনুসের মাথা ও ঘাড়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে ইউনুস মাটিতে পড়ে যায়। এসময় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। পরে সাতক্ষীরায় নেওয়ার পথে তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চাচা সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল আমিন গাজীর মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্তরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।