গোলাম সরোয়ার ::
ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে সাতক্ষীরা জেলা শহরে। শহরজুড়ে তীব্র যানজটে নাকাল শহরবাসি। গতকাল শহরের সুলতানপুর বড় বাজার সড়ক, নিউমার্কেট এলাকা, শহীদ কাজল স্বরণী, পাকাপুলের মোড়, পাওয়ার হাউস ও সদর হাসপাতাল মোড়ে তীব্র যানজট দেখা যায়। প্রথম রমজানে এমন যানজটে মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন শহরে ইজিবাইক, মোটরভ্যান, নচিমন, করিমনের পাশাপাশি হাজার হাজার মোটরসাইকেল চলাচল করে। এছাড়া রয়েছে যাত্রীবাহী, ট্রাক, পরিবহন ও অফিসিয়াল অন্যান্য যানবাহন। ফলে ছোট শহরে এতো বেশি সংখ্যক যান চলাচলের কারনে সেটা নিয়ন্ত্রন করাও মুশকিল হয়ে পড়ছে দায়িতরত্ব ট্রাফিক পুলিশের।
তবে ভুক্তভোগিরা জানান, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারনে শহরে বাড়ছে অবৈধ সব যান চলাচল। এতে করে সাধারণ মানুষ শহরে চলাচল করতে নাজেহাল হচ্ছে।
কথা হয় শহরের কামালনগর এলাকার বাসিন্দা রেজাউল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, সুলতানপুর বড় বাজারের প্রবেশ মুখ কেষ্ট ময়রার মোড়ে যানজটে অন্তত আধাঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পর স্বাভাবিক হয়। তিনি বলেন, এক সাথে ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও মোটরভ্যান ওই সড়কে আটকে যাওয়ায় এমন যানজটের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, এমন অবস্থা সাতক্ষীরা শহরে নিত্যদিনের। বিশেষ করে অফিস টাইমে শহরের সমস্ত সড়কে তীব্র যানজট হয়।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছোট্র একটি শহরে কয়েক হাজার ইজিবাইক, মোটরভ্যান, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে। যানজট নিরোসন করতে হলে ইজিবাইক ও মোটরভ্যান শহরে চলাচল বন্দ করতে হবে। তিনি বলেন, কিছু কিছু সময় দেখা যায় যানজট এমন ভাবে হয় ওই সময় কোনো জরুরী সেবা পরিবহন যাতয়াতের সুযোগ থাকেনা। যা বিপদজনক অবস্থা আমাদের জন্য।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, শহরের অবৈধ যানচলাচল বন্দে পুলিশের পাশাপাশি পৌর কর্তৃপক্ষকেও এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এ যানজট কখনো নিরোশন করা সম্ভব না। তিনি বলেন, কয়েক হাজার ইজিবাইক, মোটরভ্যান ও অন্যান্য যান চলাচল করছে শহরে। এসব যানচলাচলে বৈধ কাগজপত্র দিচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ফলে পুলিশ চাইলেও তা আটকাতে পারেনা। ফলে শহরের যানজট নিরোশনে পৌর কর্তৃপক্ষের ভুমিকাও কম নয়। তাছাড়া অন্যান্য অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রন করতে পুলিশের মোবাইল কোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
#