ডেস্ক রিপোর্ট ::
ব্যবসাবান্ধব পরিবেশে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ব্যাপক হারে বেড়েছে রপ্তানি-বাণিজ্য। রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নিয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধিতে অর্জন হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা (মার্কিন ডলার)। রপ্তানি বান্ধব ভোমরা বন্দরকে ব্যবহার করছে দেশের অধিকাংশ শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের বহুমাত্রিকতা ও উৎকর্ষ বৃদ্ধ এখন লক্ষণীয়। দেশীয় পণ্যের যথেষ্ট কদর রয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বাজারে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৯৯ মেট্রিকটন দেশীয় পণ্য ভোমরা বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয় ভারতে। যার রপ্তানিকৃত পণ্য থেকে ২ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা দেশীয় মুদ্রা অর্জন করে সরকার। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ১৫৯ মেট্রিকটন পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে। যার রপ্তানি পণ্য থেকে অর্জন হয়েছিল ২হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের আট মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ৩৩১ কোটি ২২ লাখ অধিক দেশীয় মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে সরকার। যার রপ্তানি মূল্যের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ দশামিক ৫২শতাংশ। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ জানান, দেশের অর্থনৈতিক খাতকে শক্তিশালী করণের লক্ষ্যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ভোমরা বন্দর। রপ্তানি বাণিজ্য গতিশীল করতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সর্বক্ষণ সচেষ্ট রয়েছে।
ভোমরা কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা জানান, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে রপ্তানী আয়ের পরিমাণ ছিল ১০ দশামিক ৫৩বিলিয়ন ডলার। আর ১১বছরের ব্যবধানে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয় তিনগুণ বেড়ে ৩৪ দশামিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারে উত্তীর্ণ হয়েছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৩৩দশামিক ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনা ভাইরাসজনিত কারণে রপ্তানি কিছুটা কমেছিল। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪০ দশামিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান জানান, দেশীয় পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে বিদেশের বাজারে। দেশের অন্যান্য স্থল বন্দরের চেয়ে রপ্তানি বাণিজ্য গতিশীল রয়েছে ভোমরা বন্দরে। বর্তমানে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে রপ্তানি বাণিজ্য।