★ রাজ মোহনের ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা গায়েব
★ কর্মী রত্নার টিকিটি ছোঁয়ার উপায় নেই
এস কে হাসান ::
প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো- অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়নে শত শত গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হলেও গ্রাহকরা টাকা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে। কর্মীরা নানা চটকদার কথা ও প্রলোভন দেখিয়ে পরিসি খুলতে প্রলুব্ধ করলেও এখন তারা নিজেদেরকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। গ্রাহকরা ধর্ণা দিয়েও তাদেরকে কোন কাজে আনতে পারছেনা।
প্রগতির কর্মী বুধহাটা ইউনিয়নের রামদেবকাটি গ্রামের আনন্দ দাশের স্ত্রী রত্না রানী দাশ ও একই গ্রামের প্রবীর কুমার দাশ এলাকায় শত শত মানুষকে ব্যাপক লাভের কথা ও সাথে সাথে নিশ্চয়তার কথা বলে পলিসি খুলতে কাজ করেন। তাদের মধ্যে রামদেবকাটি গ্রামের মৃত ধীরেন্দ্র নাথ দাশের ছেলে রাজ মোহন দাশ একজন। রত্নার মাধ্যমে রাজ মোহন ২ লক্ষ টাকার স্থায়ী আমানত করেন। ১৫/২/২২ তাং তিনি এক কালীন ২ লক্ষ টাকা জমা দেন। ৫ বছরে টাকা দ্বিগুন হবে এবং প্রতিমাসে চাইলে ৩০০০ টাকা করে লভ্যাংশ পাবেন। লভ্যাংশের টাকা দিয়ে প্রতি মাসে সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন তিনি। একই দিন নগদ ৩০০০ টাকা জমা দিয়ে সঞ্চয় পত্র (নং ৯০৪০৬০০১৮১৩) শুরু করেন। এরপর প্রতি মাসে লভ্যাংশের টাকা ৩০০০ টাকা করে উত্তোলন করে ঐ সঞ্চল আমানতে জমা করতে থাকেন। এভাবে তিনি ১৭ মাসে ৫১ হাজার টাকা জমা করেন। ১৭ মাস পরে চুক্তি ভঙ্গ করে লভ্যাংশ কমিয়ে ২০০০ টাকা করে প্রদান করা হয়। এরপর ৫ মাসে ২০০০ টাকা করে লভ্যাংশ উঠিয়ে তিনি ১০ হাজার টাকা জমা করেন। এছাড়া পৃ্থক একটি সঞ্চয় পত্রে (নং ৯০৪০৬০০১৮০৪) প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে ১৯ মাসে ৯৫০০ টাকা জমা দেন। এপর্যায়ে সোসাইটির বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে পড়লে অন্যদের ন্যায় তিনিও লেনদেন বন্ধ রাখেন। পরবর্তীতে মালিক পক্ষের আত্মগোপন, অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়া, আদালতে মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনার প্রেক্ষিতে গ্রাহকরা চরম আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার ভিতর দিয়ে সময় গুণতে থাকে।
প্রগতি কর্মী রত্নার কাছে রাজ মোহন ধর্না দিতে শুরু করেন। আজ কাল, দ্রুত সময়ে টাকা দেওয়া হবে এমন বলতে বলতে গ্রাহকদের তিনি হয়রানী করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু রত্না ও অপর কর্মী প্রবীরকে নিয়ে গ্রাহকদের সাথে বসেন এবং কমবেশী করে টাকা শোধের ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দেন। এরপর প্রদীপ তার অধীনের গ্রাহকদের সাথে সমঝোতায় আসলেও রত্না কোন ব্যবস্থা নেয়নি। রত্না মহিলা হওয়ায় নানা কারনে গ্রাহকরা জোর করে কিছু বলতে পারেনি। অসহায় গ্রাহকরা তাদের সঞ্চিত লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এব্যাপারে রত্নার মোবাইল নম্বরে (—-৮৫০০৮২) কল করে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।