আর.কে.বাপ্পা, দেবহাটা ::
দেবহাটার তিলকুড়ার ঈদগাহের জমি জোরপূর্বক দখলের প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর নিকট আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি করেছেন তিলকুড়া গ্রামবাসীর পক্ষে রিয়াজুল ইসলাম। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেবহাটা উপজেলার তিলকুড়া জামে মসজিদ এবং মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানের জমি তৎকালীন জমিদার কর্তৃক সেসময়কার ৩জন খাদেমের নামে সিএস রেকর্ডের মাধ্যমে ঈদগাহের কাজে ব্যবহারের জন্য প্রদান করেন। যা সিএস রেকর্ডের মন্তব্যের কলামে ঈদগাহের কাজে ব্যবহার্য বলে লেখা আছে। এরপরে এসএ রেকর্ডের মন্তব্যের কলামেও মুসলমান সাধারনের ব্যবহার্য বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু উক্ত ৩জন খাদেমের মধ্যে ১জন খাদেম শেখ কলিমউদ্দিনের ছেলে শেখ আহম্মদ বকস এসএ রেকর্ডের মালিক হিসেবে ঈদগাহের জন্য ব্যবহার্য বিষয়টি গোপন করে তার অংশের জমিটি হস্তান্তর করেন এবং পরবর্তীতে উক্ত জমিটি বর্তমানে বিআরএস রেকর্ডে তার ওয়ারেশদের নামে হয়ে গিয়েছে। গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট দেশের পট পরিবর্তনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জোরপূর্বক উক্ত ঈদগাহের প্রাচীর ভেঙ্গে এসএ রেকর্ডের মালিক শেখ আহম্মদ বকসের ছেলে বর্তমানে বিআরএস রেকর্ডের মালিক শেখ ফয়েজ (ফরেজ) জায়গাটা দখল করে নেয়। এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ জানালে ও এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে ফরেজ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি শালিশ ডাকে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ধর্মীয় জায়গার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে পূর্বের সিএস ও এসএ রেকর্ড বিবেচনা না করে এলাকাবাসীর বিপক্ষে গিয়ে ফরেজের পক্ষে রায় দেয়। এতে এলাকাবাসী অত্যন্ত ব্যথিত ও মর্মাহত হয়। পরে এলাকাবাসীর পক্ষে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আদালতে মামলা করা হয়। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনায় স্থানীয় তহশিলদার নোটিশ করে উভয় পক্ষকে হাজির হতে বললেও ফরেজ সেখানে হাজির না হয়ে প্রভাব খাটিয়ে জায়গা দখল অব্যাহত রাখে। যার কারনে ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়টি বিবেচনা করে রেকর্ড সংশোধন ও সুষ্ঠু বিচারের জন্য এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে এসি ল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদেশ প্রদান করেছেন। এলাকাবাসী ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছেন।