পলাশ কর্মকার ::
কপিলমুনিতে ১ হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী বারুনী স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সারাদিন কপিলমুনির কালী বাড়ী ঘাটে কপোতাক্ষ নদীতে এ স্নান অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযায়, কোন এক চৈত্র মাসের মধুকৃৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে শতভিষা নক্ষত্রযোগে মহামুনি কপিলদেব কপিলমুনির কপোতাক্ষ ঘাটে সাধনায় মা গঙ্গার সাক্ষাৎ পেয়ে সিদ্ধি লাভ করেন। এ কারণে তাঁর সিদ্ধিলাভের দিনটিকে স্মরণ রাখতে ও নিজেদের পাপ মুক্ত করতে ধর্ম প্রাণ সনাতন ভক্তরা কপোতাক্ষ নদের কপিলমুনি নামক স্থানের কালীবাড়ী ঘাটে হাজার বছর ধরে গঙ্গা স্নান বা বারুণী স্নান করে পুত-পবিত্র হয়ে উৎসব পালন করে আসছেন। বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টা ২২ মিনিটে শতভিষা নক্ষত্র যোগে কালীবাড়ী ঘাটে স্নান শুরু হয়, আর রাত ৯টা টা ২৬ মিনিটে স্নান শেষ হয়।
প্রবাদ আছে, মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে গঙ্গার পবিত্র জল এই স্থানে প্রবাহিত হয়। বরুণ জলের দেবতা, বরুণের স্ত্রী বারুণী, বারুণীর আর এক নাম গঙ্গা। তাই বারুণী স্নান মানেই গঙ্গা স্নান। অতীত ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে তাই আয়োজক কমিটি এবারও মহা বারুণীর পূণ্য স্নানের অয়োজন করেছিল। তবে এবছর ¯স্নান হলেও পক্ষকাল ব্যাপী বারুণী মেলা বসেনি নি।
কপিলমুনি কালী মন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শ্রী চম্পক কুমার পাল বলেন, ‘কালী বাড়ী ঘাটে প্রতি বছরের মতো এবারও স্নানের আয়োজন করা হয়েছিল, শ্বতঃস্ফুর্তভাবে ভক্তরা স্নানে অংশ নিয়েছেন।
কপিলমুনি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্রী সন্তোষ সরকার বলেন, “বারুনী স্নান আমাদের ঐতিহ্য, এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। প্রশাসনসহ সকলের সহযোীতায় স্নান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ এস আই মোঃ সবুজ গাজী বলেন, “পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রেখেছিলাম।”