স্টাফ রিপোর্টার ::
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি-২০২৫ নিবন্ধনের জন্য ভূয়া প্যাথলজিষ্টের মাধ্যমে রক্ত গ্রুপ পরীক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে। ৬ এপ্রিল সকাল ১০ টায় ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন চত্বরে সরজমিনে যেয়ে জানা যায়,তুজলপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক হোসেনের ছেলে বিল্লাল হোসেন ও নেবাখালি গ্রামের আশরাফুল সরদারের ছেলে আলমগীর হোসেন নামের ২ জন ব্যাক্তি ইউনিয়ন পরিষদের গেটের মুখের দুই পাশ্বে ২জন বেজ্ঞে বসে ভোটার হালনাগাদ কারীদের রক্ত গ্রুপ পরীক্ষা করছে।তার মধ্যে বিল্লাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্যাথলজিষ্ট না,শুধু মাত্র রক্ত গ্রুপ পরীক্ষা করতে পারি। যেখানে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি থাকে সেখানে যেয়ে আমি রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করি। তবে কেহ এখনো পর্যন্ত কোন দিন অবজেকশন দেইনি। অন্য জন আলমগীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্যাথলজিষ্ট না, আমি ওয়েলফেয়ার সোসাইটির গ্রাম ডাক্তার। তবে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করতে পারি। বিধায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের সিডিউল অনুযায়ী আমি রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করতে যাই। আলমগীর হোসেনের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্ট প্যাডে,সুন্দরবন ব্লাড ডোনেশন সোসাইটি প্যাথোলজি ডিপারমেন্ট লেখা আছে। সদর উপজেলার ভোটার তালিকা হালনাগাদের টিম-২, এর ডাটা এন্টি অপরেটর মামুন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটারদের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা হলেই হলো,প্যাথলজিষ্টের কোন আমাদের প্রয়োজন নেই। ৬ এপ্রিল রবিবার ভোমরা ইউনিয়নের ১ থেকে ৫ নং ওয়ার্ডের ভোটারদের তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। ৭ এপ্রিল সোমবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পযর্ন্ত ৬ থেকে ৯ নং ওয়ার্ডের ভোটারদের তালিকা হালনাগাদ করা হবে। ৬ এপ্রিল রবিবার ২ জন রক্ত গ্রুপ পরীক্ষক মধ্যে আলমগীর হোসেনের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার সরঞ্জাম রাখার জন্য ঠান্ডা ফ্রীজ জাতীয় পাত্র ছিল। কিন্তু বিল্লাল হোসেনের ঠান্ডা ফ্রীজ জাতীয় কোন পাত্র ছিল না। তার কাছে বক্তব্যে নেওয়ার একটু পরেই বিল্লাল হোসেন ছিটকে পড়েন। এলাকায় সচেতন মহল আব্দুর রশীদ বলেন, সাতক্ষীরা শহরে নামীদামী ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রক্তের বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষায় মাঝে মাঝে ভূল পাওয়া যায়। আর রক্ত গ্রুপ পরীক্ষাটি সঠিক না হলে, মুমূর্ষু অবস্থায় রোগীকে ভূল গ্রুপের রক্ত দিলে সে ক্ষেত্রে রোগী মারা যাবেই। সেক্ষেত্রে রক্ত গ্রুপ পরীক্ষা সঠিক হওয়া অতি জরুরি প্রয়োজন। এব্যাপারে দায়িত্ব প্রাপ্ত উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।