শেখ আমিনুর হোসেন ::
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে নিয়মিত মোটরযানের উপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও অতিরিক্ত ভাড়া রোধে শহরের বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টারে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে নিয়মিত তদারকি ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
শুক্রবার (৬ জুন ‘২৫) দুপুরে শহরের সঙ্গীতা মোড়ে মোটরযানের উপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় ওভারস্পিড গতিতে গাড়ি চালানো ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের কারনে ৪ টি মামলার বিপরীতে ৪ হাজর টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এ সময় উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার পলাশ আহমেদ, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মেকানিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট মোঃ ওবায়দুর রহমান, বেঞ সহকারী আসিকসহ সঙ্গীয় ব্যাটালিয়ন আনসার ফোর্স।
এ ছাড়াও ঐদিন বিকালে শহরের বিভিন্ন পরিবহণ কাউন্টারে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রুখতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ আহমেদ এর নেতৃত্বে, বিআরটিএ ও সঙ্গিয় ব্যাটালিয়ন আনসার ফোর্সদের সহযোগিতায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টারে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কোন অভিযোগ পাওয়া না গেলেও যাহাতে যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়া হয় সেজন্য সকল পরিবহন কাউন্টারকে সতর্ক করা হয়েছে।
এ অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ আহমেদ জানান, ঈদ উল আযহা উপলক্ষে নির্বিঘ্নে যাত্রীসেবার মান নিশ্চিত করতে এ সতর্কতামূলক অভিযান চালানো হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইনের ৩৪ ধারা অনুযায়ী প্রতিটি বাসে নির্ধারিত ভাড়া স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে চার্ট টানানো বাধ্যতামূলক। কোনোভাবেই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না।
তিনি আরও জানান, সাতক্ষীরার শহরে অবস্থিত পরিবহণ কাউন্টার ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বাস কাউন্টারগুলোতে নির্ধারিত রুটভিত্তিক ভাড়ার তালিকা বড় আকারে প্রকাশ্যে টাঙ্গানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে যাত্রীরা সহজেই নির্ধারিত ভাড়া দেখতে পারেন এবং অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কোনো সুযোগ না থাকে।
এ বিষয়ে বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কে এম মাহবুব কবির এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদ উল আযহা উপলক্ষে যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে যাত্রীদের স্বার্থ রক্ষায় এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। বাড়তি ভাড়া সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, স্থানীয় প্রশাসনের এ ধরনের নিয়মিত তদারকি ও অভিযানের ফলে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে। অনেকেই জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিযান নিয়মিত চালালে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং সাধারণ যাত্রীরা হয়রানির হাত থেকে রেহাই পাবেন।