নাজমুল আলম মুন্না ::
আশাশুনিতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় ২ সন্তানের জনক আটক করেছে স্থানীয় জনগণ অতপর ৪০ হাজারে রফাদফার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (৭ জুলাই) ভোর সাড়ে সাতটার দিকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার নাকতাড়া গ্রামের আনিছুর রহমান ওরফে (আমছুর) এর ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫) দুই সন্তানের জনক নারীসহ স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়।
এ ব্যপারে শ্রীউলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাকতাড়া গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে রবিউল একটা লম্পট, দুশ্চরিত্র ব্যক্তি ওর নামে আগেও কয়েকটি নারী কেলেংকারীসহ মাছ চুরির অভিযোগ রয়েছে। আমি শুনেছি রবিউল প্রায় সময় ঐ মেয়েটারে নিয়ে বিভিন্ন যায়গায় অকাম করে বেড়ায়। গত রবিবার আমাদের এলাকায় বিলির মধ্যি এক বাড়ীতে এক নারীকে নিয়ে অকাম করার সময় স্থানীয় জনতা আটক করে আমারে ফোন দেয় এবং তাকে পরিষদে নিয়ে যায়। আমি ওসি সাহেবকে জানালে পরবর্তীতে থানা থেকে পুলিশ এসে ওদেরকে থানায় নিয়ে যায়। পরে ওসি সাহেব মিমাংসা করে দেয়।
এবিষয়ে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ অধিকারি বলেন, আমরা খবর পেয়ে উত্তেজিত জনগনের কাছ থেকে উদ্ধার করে দুজনকে থানায় নিয়ে আসি। পরবর্তীতে গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে মেয়েকে মেয়ের পরিবার ও ছেলেকে ছেলের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এবিষয়ে শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান দিপঙ্কর বাছাড় দিপু বলেন, ঘটনাটি সত্য। আমি লোকের মুখে শুনেছি ঐ ঘটনায় থানার ওসি সাহেব দুপক্ষের সাথে বসে মিমাংসা করে দেওয়ার পরও ১৪ জুলাই রবিবার শাকিল চেয়ারম্যান রবিউলকে নিয়ে আবারও সালিশ করে ৪০ হাজার টাকায় রফাদফা করে মেয়ে পক্ষকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করে এবং বাকী ২৫ হাজার টাকা শাকিল চেয়ারম্যান নিয়েছেন।
আপনি কি রবিউলকে নিয়ে গতকাল আবারও সালিশ করেছেন এবং সালিশে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন প্রশ্নে শ্রীউলার সাবেক চেয়ারম্যান শাকিল বলেন, রবিউলকে নিয়ে বসেছিলাম কারন এলাকার সবার সাথে রবিউলের খারাপ সম্পর্ক, কেউ তাকে ভাল বলেনা, এজন্য সকলের কাছে রবিউলকে মাপ চাওয়াই। এখানে কোন টাকা লেনদেন হয়নি।
উল্লেখ্য যে, গত ৭ জুলাই রবিবার সকালে শ্রীউলা গ্রামের উৎসুক জনতা দুই সন্তানের এক জননীর (ডিভোর্সি) সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় আটক হয় নাকতাড়া গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম।
##