ডেস্ক রিপোর্ট ::
কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে জেলার শ্যামনগরের নি¤œাঞ্চলের চিংড়ি ঘেরসহ কৃষি জমির ফসল ও কাঁকড়া খামারগুলো পানিতে ভাসছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বেশ কিছু পরিবার। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ভামিয়া গ্রামের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এসব মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে বলে জানান ভামিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিম গাজী। উপকূল অঞ্চলের চার পাশে নদী থাকলে ও পানি নিস্কাশন ব্যবস্থার খালের সুব্যবস্থা নেই।
সরকারি খাল ইজারা দেওয়ার কারণে সেখানে গড়ে তুলেছে বসত বাড়ি। তাই অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার আশংকা দেখা দিয়েছে। ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবিয়ার রহমান বলেন, ৭নং ওয়ার্ডে বেশ কিছু খাল সরকারিভাবে খনন করা হয়েছে। তবে এসব খালের বেশ কিছু অংশে বাঁধ দেওয়ার কারণে পানি নিস্কাশনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
শনিবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অতিবৃষ্টিতে বেশকিছু এলাকায় মানুষের বাড়িঘরসহ মিষ্টি পানির পুকুর নোনা পানির সাথে মিশে গেছে।
ভামিয়া গ্রামের রতন আউলিয়া বলেন, আমার বাড়ির উপরে এক বিঘা জমির একটি পুকুর, এই পুকুরে বহু প্রজাতির মাছ ছিল, এই বৃষ্টিতে আমার মাছ সব ভেসে গেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয়ভাবে যে পানি নিষ্কাশনের খালগুলো ছিল সেগুলোর সব সরকারিভাবে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব ইজারা দেওয়ার কারণে আজ আমাদের এই দুর্দশা। আমার দাবি যথাক্রমে এই পানি নিষ্কাশন খালগুলো অবমুক্ত করে এলাকার পানি নিষ্কাশনের পথ পরিষ্কার করা হোক।
এবিসয়ে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৮নং ওয়াডের্র ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ এলাকায় বেশ কয়েকটি খাল আজ বন্ধ করার করণে এই জলাবদ্ধতার শিকার হতে হচ্ছে। চেষ্টা করছি সরকারি খালের ইজারা বাতিল করে খালগুলো অবমুক্ত করানো যায় কি না।