বি. এম. জুলফিকার রায়হান ::
গত ৫ আগস্ট পরবর্তীতে তালা উপজেলা রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার ২/৩দিনের মধ্যে আতংঙ্কিত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখন ব্যক্তিস্বার্থে বিভিন্ন ব্যক্তি জমি দখল, হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজী করে যাচ্ছে। এরফলে বর্তমানে এলাকার সাধারন সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতংক এবং উদ্বেগ কাজ করছে। এঅবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতী সহ সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য তালায় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১১ আগস্ট) সকালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণের আয়োজনে, সংস্থার তালাস্থ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও সামাাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন, উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, তালা সেনা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাম্প কমান্ডার মেজর কামরুল ইসলাম।
সংলাপে- তালা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. সনজয় বিশ^াস, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম, উন্নয়ন প্রচেষ্টা পরিচালক শেখ ইয়াকুব আলী, তালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ শফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজ উদ্দীন ও আলাউদ্দীন জোয়ার্দ্দার, বিএনপি নেতা শেখ জিল্লুর রহমান, আবুল কালাম, অধ্যাপক মোশারফ হোসেন, মির্জা আতিয়ার রহমান, জোয়ার্দ্দার ফারুক হোসেন, জামায়াত নেতা মুজিবর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান রিন্টু, শিক্ষক অধ্যাপক রেজাউল করিম, অধ্যাপক অচিন্ত্য সাহা, সাবিনা ইয়াসমিন, গাজী জাহিদুর রহমান, এনজিও প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ কবির শাওন, জাহিদ আমিন শাশ^ত, সাংবাদিক বি.এম. জুলফিকার রায়হান, এমএ ফয়সাল, এসএম নাহিদ হাসান, ধর্মীয় নেতা প্রদ্যুৎ কুমার, ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল্লাহ সরদার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা মো. ইদ্রিস আলী, আব্দুল কাদের ও যুব সংগঠনের প্রতিনিধি ইমরান রাব্বী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় তালা উপজেলার দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর মেজর কামরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার কোথাও কোনও অরাজকতা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও চাঁদাবাজী বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও সাধারণ মানুষের আর যেন কোন প্রকার ক্ষতিসাধন না হয় সেদিকে সকলকে নজর দিতে হবে। কেউ যাতে কোন ধরণের হয়রানীর শিকার না হয় সে ব্যাপারেও নজর রাখা হবে। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে যারা এধরনের সহিংসতা সৃষ্টি করেছেন এবং জমি দখল সহ ঘর-বাড়ি ভাংচুর করেছেন অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
###