আর.কে.বাপ্পা ::
দেবহাটায় কোটা আন্দোলনে নিহত আসিফ হাসানের বাড়িতে এলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। গত ১৮ জুলাই দেশব্যাপী যখন কোটা আন্দোলন তুঙ্গে তখন ঢাকায় আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশের গুলিতে মারা যায় আসিফ হাসান। নিহত আসিফ হাসান দেবহাটার আস্কারপুর গ্রামের মাহমুদ গাজীর ছেলে।
সে নর্দান ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। মঙ্গলবার ১৩ আগষ্ট সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী নিহত আসিফ হাসানের বাড়িতে পৌঁছান। এসময় নিহত আসিফ হাসানের পিতা মাহমুদ গাজী, দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আল ফেরদাউস আলফা, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান, দেবহাটা থানার ওসি সেখ মাহমুদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কর্মকর্তাবৃন্দ নিহত আসিফ হাসানের পিতা ও মাতাসহ পরিবারের এসময় সান্তনা দেন ও তার কবর জিয়ারত করেন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বলেন, শিক্ষার্থীরা যে কারনে আন্দোলন করেছে সেটা বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। কারন এই দেশটা আমাদের, তাই দেশটাকে সুন্দর করতে হবে। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মেধাবী ও গরীব ৮জন শিক্ষার্থীদেরকে বাই সাইকেল বিতরন করেন।