আমাদের দেশে পাসের হার ক্রমগত বেড়েই চলেছে কিন্তু বন্দি হয়ে আছে পুঁথিগত বিদ্যা।যত দিন বাড়ছে ততই আধুনিক হওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।আর এই আধুনিকতার যুগে নিত্য নতুন প্রযুক্তি আসায় আমরা বই পড়ার অভ্যাস হারিয়ে ফেলছি।এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের সন্তানদের আবদার মেটাতে কিনে দিচ্ছি ফোন কিংবা কম্পিউটার। যেখানে তাদের মাঠে গিয়ে খেলার কথা সেখানে তারা ইন্টারনেটে গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে। আসক্ত হয়ে পড়ছে নিত্যনতুন প্রযুক্তিতে। ২০২২ সালের পরিসংখ্যানে দেখলে বোঝা যায় সবচেয়ে বেশী ফেসবুক ব্যবহারকারীর ভিতরে বাংলাদেশ আছে প্রথম সারিতে।
অতিমাত্রায় প্রযুক্তিনির্ভরতা প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের আচরণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাহলে এই আধুনিকতার যুগে আমাদের সমাজ কতটুকু শিক্ষিত? আমাদের দেশে পাঠকের অভাবে শতশত পাঠাঘর যেনো তৈরি হচ্ছে জাদুঘর।বিজ্ঞান ,অর্থনীতি যত এগিয়েছে, মানুষ তত বেশি স্বার্থপর হয়ে উঠেছে। এই ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করতে, মানুষকে শেষ পর্যন্ত বইয়ের দিকে ঝুঁকতে হবে। অন্যথায় প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করা যাবে না। নৈতিক মূল্যবোধ ও মানবিক মূল্যবোধ গড়ে উঠবে না। মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণেই সমাজে অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সুষম শিক্ষা ব্যতীত শিক্ষার্থীরা শক্তিশালী মূল্যবোধ গড়ে তুলতে পারে না। আমাদের সন্তানদের জানতে আগ্ৰহী করতে হবে, পড়ার ভিতরে আন্দন্দ খুঁজে দিতে হবে। আউটডোর গেম খেলতে উৎসাহিত করতে হবে। একটা পরিপূর্ণ শিক্ষা একজন সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। নিজের ব্যক্তিত্ব ও মূল্যবোধ বিকাশ করে থাকে।তখনই আমরা বলতে পারব কবি সুনির্মল বসুর কবিতায়,
“বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর,
সবার আমি ছাত্র,
নানান ভাবে নতুন জিনিস
শিখছি দিবারাত্র।”
শিক্ষার্থী, সৌরভ হালদার ব্যবস্থাপনা বিভাগ সরকারি ব্রজলাল কলেজ,খুলনা