এস কে হাসান ::
আশাশুনির এক সফল মৎস্য চাষী মৎস্য প্রকল্পের চওড়া বেড়ী রাস্তায় ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬৪০টি ফলজ গাছ লাগিয়ে ও সবজি চাষে অভাবনীয় সফলতা অর্জন করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের মিত্র তেঁতুলিয়া (টেংরাখালী ব্লক) গ্রামে মোজাফফর মৎস্য প্রকল্পে এই আধুনিক চাষাবাদ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
মোজাফফর মৎস্য প্রকল্পের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ ইদারা মোজাফফর এর সুদক্ষ পরিচালনায় ১ হাজার ১০০ বিঘা জমির মৎস্য প্রকল্পে ২২ ফুট চওড়া করে বেড়ী রাস্তা দিয়েছেন। তিনি মৎস্য প্রকল্পে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে দীর্ঘকাল ধরে অনুকরণীয় সফলতার ছাফ রেখে আসছেন। পাশাপাশি প্রকল্পের বেড়ী রাস্তা পরিকল্পিত ভাবে ২২ ফুট চওড়া করে রাস্তার দু’পাশে আধুনিক পদ্ধতিতে ফলজ ও সবজি জাতীয় বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে উৎপাদিত ফল ও সবজি বিক্রয় করে ঈর্ষণীয় লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রকল্পের মোজাফফর গার্ডেন হোম লিঃ, রাস্তার প্রাচীরের ভেতর, বিসিপি ও সেতারা ফিস ফার্ম লিঃ প্রকল্পের চওড়া রাস্তার উপরে ২২ প্রকারের ফল ও সবজি বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। যার মধ্যে নারিকেল গাছ ১৫৯৭টি, আম গাছ ২১৯০টি, কাগুজি লেবু ২৯৪০টি, মাল্টা ২৯৭৬টি, কুল গাছ ৭৮৭০টি, ড্রাগন ৮১৬০টি, ছফেদা ৮০৫৭টি, পেঁপে ৮২৮৮টি, কদবেল ৭৯৯৮টি, কালজাম ৮০৩৩টি, থাইজাম ৮০৩৪টি, লিচু ৮১৮০টি, জলপাই ৮৩০৩টি, পেয়ারা ৮৩৭৬টি, কাঠাল ৮৩৯৩, সজিনা ৮৪৮৩, আমড়া ৮৪৮৭, কলাগাছ ১০৮৬১, কচুগাছ ১০৯৯৯, খেজুরগাছ ১১০০৩টি, জামরুল গাছ ১১০০৪টি ও চটকা গাছ লাগানো হয়েছে ১১০০৫টি। সর্বমোট ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬৪০টি গাছ লাগানো হয়েছে। এরপর দক্ষ শ্রমিক কাজে লাগিয়ে পরিচর্চা করা হয় এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাজে লাগিয়ে কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ রেখে অধিক উৎপাদনের লক্ষ্যে সর্বাত্মক চেষ্টা করে আসছেন মালিকপক্ষ। ইতিমধ্যে প্রকল্পটি সফলতার মধ্যদিয়ে এগিয়ে চলেছে। আমরা কেবলমাত্র এক প্রকার গাছের উৎপাদনের চিত্র তুলে ধরছি। এ মৌসুমে ৭৮৭০ টি কুল গাছের অধিকাংশে কুল ধরেছিল। মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ৮০ হাজার টাকা করে কুল বিক্রয় করা হয়েছে। মৌসুমে সর্বমোট প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার কুল বিক্রয় করা হয়েছে।
গত বুধবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সাতক্ষীরার উপ পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রকল্পটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এসময় প্রকল্পের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ ইদারা মোজাফফর, উপজেলা কৃষি অফিসার এস এম এনামুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, এসএপিপিও মোঃ বিল্লাল হোসেন, এসএও নাজমুস সাকিব শাওন ও জাহানারা খাতুন উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে সার্বিক খোঁজ খবর নিয়ে উপ পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম দিক নির্দেশনামূলক উপদেশ প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের বিভিন্ন বৃক্ষের পাশাপাশি সবজি চাষ করা হলে প্রচুর পরিমানে সবজি উৎপাদন সম্ভব হবে। উৎপাদিত সবজী স্থানীয় চাহিদা পুরন করে শহরে সরবরাহ করে ব্যাপক লাভবান হওয়া সম্ভব বলে তিনি জানান।