পলাশ কর্মকার ::
গায়ের জোরে ৯ সদস্যের গরীব ও অসহায় একটি পরিবারকে সরকারি রাস্তায় যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সহ তাদেরকে উৎপীড়ন করছেন উপজেলার সোনাতন কাটি গ্রামের প্রভাবশালী কাজি রমজান আলী। এমনকি তাদেরকে বাস্তুচ্যুত করতে উঠে পড়েছে লেগেছে এমন গুরুতর অভিযোগ ওই রমজান আলীর বিরুদ্ধে উঠেছে। এ বিষয়ে গত ১৮ নভেম্বর কাজী রমজানের প্রতিবেশী অসহায় ওই পরিবারটি তাদের বাড়িতে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে দিনমজুর সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র সরকারি রাস্তাটি চলাচলে কাজী রমজান আলী ও তার সহযোগীরা প্রায় ৬ বছর যাবত নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। মাঝে মধ্যে রাস্তার উপর ঘেরাবেড়া সহ ডালপালা ও বাঁশ কুঞ্চি রেখে চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে। তখন অন্যের বাগান দিয়ে দিনে রাতে আমাদের চলাচল করতে হয়ে। পরে বিভিন্ন লোক দিয়ে সুপারিশ আর আমাদের নানা কাকুতি মিনতির পর রাস্তা থেকে এসব অপসারণ করা হয়। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে রাস্তাটির উপর তার ভাতিজা নূর হোসেন ও আজিজ একটি পায়খানা ঘর নির্মাণ সহ টিউবওয়েল স্থাপন করে রাস্তাটি সংকুচিত করে দেওয়ায় যাতায়াতে খুবই ভোগান্তি হচ্ছে। রাস্তার উপর পায়খানা ঘর ও টিউবওয়েল স্থাপনের প্রতিবাদ করলে আমার মা মাকসুদ বেগম ও পিতা কাজী রবিউল ইসলাম তাদের কাছে একাধিকবার মারপিটের শিকার হয়েছে। সাইফুল আরো বলেন, কাজী রমজান আলী প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকের কাছে আমরা ধর্ণা দিলেও এ বিষয়ে কোন প্রতিকার পায়নি। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর আবারো কাজি রমজান আলী রাস্তাটি ঘিরে দেওয়ার সময় বাঁধা দিলে কাজি রমজানসহ তার ছেলে নুর ইসলাম ও একই গ্রামের মৃত আনারউদ্দিন শেখের ছেলে ফারুক শেখ আমাকে মারপিট করতে উদ্যাত হয়। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এঘটনায় সাইফুল ইসলাম গত ১৭ নভেম্বর পাইকগাছা থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেছেন, যার নং-৮৩০।
এদিকে কাজি রমজান আলী সরকারি রাস্তার কথা স্বীকার করলেও তাদের রাস্তায় চলাচলে বাঁধা দেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দাম্ভিকতার সাথে জানান, ওদেরকে যেতে দেব না, আমাকে কে কি করবে দেখি।
তবে সাইফুলের বৃদ্ধ পিতা কাজী রবিউল ইসলাম জানান, শেষ সম্বল আমার বসতভিটাটি কাজি রমজান কিনতে চায় কিন্তু আমি রাজি না হওয়ায় সে আমাদের উপর এমন উৎপিড়ন করছে। এ বিষয়ে আশু হস্তক্ষেপের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ওই অসহায় পরিবারটি।