স্টাফ রিপোর্টার ::
খুলনার সুন্দরবন উপকূলীয় উপজেলা কয়রায় লবণাক্ততার আগ্রাসনের মধ্যে মাছ ও সবজির সমন্বিত চাষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এক গ্রামের অর্ধশতাধিক চাষি। তাদের সফলতা দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঘেরের পাড়ে সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে এলাকার মানুষের।
সরেজমিন আমাদী ইউনিয়নের নাকশা বিলে যেয়ে দেখা যায়, প্রায় একশ’ বিঘা জমিতে মাছ চাষের পাশাপাশি জলাশয়ের পাড়ের উপর দিয়ে বিভিন্ন সবজির বাগান রয়েছে। সেখানের মাচায় ঝুলছে শশা, পল্লা, লাউ ও কুমড়া। আর পাড়ের উপর রয়েছে ঢেড়শ, বরবটি ও বিভিন্ন শাক। অর্ধশতাধিক চাষি খন্ড খন্ড করে তাদের জমি খনন করে একদিকে মিঠা পানির মাছ চাষ করছেন, অন্যদিকে পাড়ের উপর বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন। কেউ কেউ আবার আমন ধানও রোপন করেছেন। কথা হয় আব্দুল কাদের(৩৫) নামের এক সফল চাষির সাথে। তিনি জানান, জীবিকার তাগিদে একসময় বিভিন্ন এলাকায় দিনমজুরের কাজ করতেন। খুলনার ডুমুরিয়ায় দিনমজুরের কাজ করতে যেয়ে সেখানকার কৃষি কাজ দেখে এসে নিজে কৃষি কাজ শুরু করি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাশ দৈনিক পত্রদূতকে বলেন, ঘেরের পাড়ে সবজি কয়রার কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বিশেষ করে এটি মিষ্টি পানি সংরক্ষণের আধার হিসেবে কাজ করবে। এই পানি ব্যবহার করে একই জমিতে ধান, মিষ্টি পানির মাছ ও পাড়ে সারাবছর উচ্চমুল্যের সবজি আবাদ করতে পারবে। লবণাক্ত এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে যে সেচের পানির সংকট হয় তা অনেকাংশে পূরণ করবে এ মিষ্টি পানির ঘের পাশাপাশি পাড়ে অফসিজন সবজি কৃষকদের আর্থিকভাবে লাভবান করবে।
##