বি. এম. জুলফিকার রায়হান ::
তালার গঙ্গারামপুর গ্রামে জমি জোর দখল চেষ্টাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের একের পর এক হামলা, মামলা ও হয়রানীর মুখে মো. মুজিবুর রহমান শেখ নামের এক কৃষকের পরিবার অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। জমি দখলের জন্য দূর্বৃত্তদের অব্যাহত হুমকির কারনে নিরিহ মুজিবুর রহমানের পরিবার আতংকের মাঝে দিনাতিপাত করছে।
উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের মৃত. বাবর আলী শেখ’র ছেলে মো. মুজিবুর রহমান শেখ জানান, পৈত্রিক ও ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে গঙ্গারামপুর মৌজার এস.এ ৪৫ খতিয়ানের হাল ৪৭৪ এবং ৪৭৬ দাগের ৫৯শতক জমি দীর্ঘ ৫০/৬০ বছর ভোগ দখল করছেন। এই জমির উপর মুজিবুর রহমান সহ তার অপর ভাই এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা বসতঘর নির্মান করে বংশ পরম্পরায় বসবাস করছে। বসতবাড়ি নির্মান ছাড়াও জমির উপর মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা গাছপালা রোপন, শবজি চাষ, পুকুরে মাছচাষ এবং জমির সীমানায় খুলনা-পাইকগাছা সড়কের পাশে ছোট্ট দোকান নির্মান করে সেখানে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু একই গ্রামের মৃত. সোনাই সরদারের ছেলে মো. কেসমত আলী সরদার আকস্মিকভাবে এই জমি তার দাবী করে গত ৪/৫ বছর ধরে জোর দখলের চেষ্টা করছে।
মুজিবুর রহমান শেখ জানান, ওই জমি আমাদের নামে বর্তমান জরিপে রেকর্ড সহ সরকার বাহাদুরকে খাজনা প্রদান করে সমূদয় ৫৯ শতক জমি শান্তিপূর্ন ভোগ দখল করে আসছি। এরপরও অবৈধভাবে কেসমত আলী সরদার এই জমি জোর দখল করার চেষ্টায় দফায় দফায় হামলা ও হুমকি প্রদান করে। নিরুপায় হয়ে ঘটনার প্রতিকার পাবার জন্য সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আদালতে প্রতিপক্ষ কেসমত আলী সরদার সহ তার ছেলে হামজা সরদার, একই গ্রামের মনির সরদার এবং ভাড়াটিয়া দূর্বৃত্ত বাক্কার কাগুজির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কেসমত সরদারের নেতৃত্বে দূর্বৃত্তরা ওই জমি দখলের জন্য বিভিন্ন সময়ে হামলা ও ভাংচুর করে। গ্রামের মানুষের সহযোগীতায় জমি দখলে বাঁধা দিলে দূর্বৃত্ত কেসমত আলী সরদার নানাবিধ হুমকি প্রদান সহ মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করে আসছে। বর্তমানে এই জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে একাধিক মামলা চলমান থাকার পরও আদালতকে উপেক্ষা করে কেসমত সরদার ভাড়াটিয়া দূর্বৃত্তদের সাথে নিয়ে ওই জমি জোর দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এঘটনায় নিরিহ মুজিবুর রহমান শেখ ও তার পরিবারের সদস্যরা সবসময় আতংকের মাঝে দিনাতিপাত করছে। অবৈধভাবে জমি দখলের জন্য কেসমত সরদারের দফায় দফায় হামলা, হয়রানী ও হুমকি প্রদানের ঘটনা থেকে প্রতিকার পাবার জন্য ভুক্তভোগী মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
###