॥ পলাশ কর্মকার ॥
কপিলমুনি বাজারে যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য পণ্যের মূল্য। ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ দ্রব্য ক্রয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। চাকরিজীবীরাও আয়ের সাথে ব্যয়ের সমন্বয় করতে পারছেন না। গত কয়েক সপ্তাহে কাঁচাবাজার, মুদিখানা এবং মাংসের বাজার ব্যাপক অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।
গতকাল দুপুরে কপিলমুনি কাঁচাবাজারে দেখা গেছে তুলনামূলকভাবে ক্রেতা কম। দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে তরিতরকারির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬০ টাকার কাচকলা ৭০ টাকা, ৭০ টাকার বেগুন ৮০ টাকা, ৫০ টাকার মেটে আলু ৬০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৩০-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, সাহস বেড়েছে কাঁচা মরিচে, ২০০ টাকার কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, ৪০ টাকার বরবটি ৬০ টাকা, ৪৩ টাকার গোল আলু ৪৮ টাকা, উচ্ছে ১২০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা, পটল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মুদি দোকানের দ্রব্যের দামও প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। মসুরের ডাল ১০০ টাকা, ছোলার ডাল ১০০ টাকা, মুগের ডাল ১২০ টাকা, জিরা ১২০০ টাকা, লবণ ৪০ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, বিভিন্ন ধরনের ডিটারজেন্ট পাউডার প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, সাবানেও মূল্য বেড়েছে ২ ধাপ। মুদি দোকানে মাল কিনতে আসাদুল ইসলাম জানান, সব পণ্যের পাশাপাশি মসলার দাম ও বৃদ্ধি পাওয়ায় তরকারিতে এখন মসলা খাচ্ছি না বললেই চলে। প্রয়োজনের তুলনায় এখন অনেক কম মসলা কিনছি। মুদি ব্যবসায়ী নিমাই কুমার পাল বলেন, ক্রেতাগন এখন প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্য কিনছেন। মূল্য বৃদ্ধির কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
মাংসের বাজারেও দেখা দিয়েছে চরম অরাজকতা, দেশী মুরগির মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকা। আর ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, কাটা ব্রয়লার মুরগির মাংস ২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা। কাটা পোল্ট্রির মাংস কিনতে আসা ভ্যান চালক রবিউল জানান, পোল্টি গোস্তের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন আগের তুলনায় অর্ধেক কিনছি। আয় ইনকামও কমে গিয়েছে।
একই অবস্থা গরুর মাংসের বাজারে। খাসির মাংস এখন অনেকে খেতে ভুলেই গিয়েছেন। প্রতি কেজি খাসির মাংস গত ১০ দিনে ৯০০ টাকা থেকে এখন ১ হাজায় টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা দীপক কুমার ঘোষ জানান, খাসির মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন সোনালী এবং পোল্ট্্ির মুরগির খেতে হচ্ছে। তবে সাধারণ জনগণ বাজার নিয়ন্ত্রণে এখনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মনিটরিং দাবি করেন।
##