এস কে হাসান ::
আশাশুনিতে ৩৬ বছরের ভোগ দখলীয় জমি জবর দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।
গতকাল সন্ধ্যায় আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মা ও চার বোনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হিজলিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ গাজীর মেয়ে আফরোজা খাতুন। লিখিত বক্তব্যে ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন,
নাছিমাবাদ মৌজায় ১৪৮নং খতিয়ানে ৫৩৫, ৫৪৮ ও ৫৬১ দাগে ২.৩৯ একর জমি আমার ফুফু সৌরভ বিবির কাছ থেকে ০৪/০৫/১৯৮৮ তারিখে ২৪৫০নং ও ২৪৫১নং কোবলা দলিল মূলে খরিদ করি। ফুফুর ছেলে হাফিজুর রহমান হাফু, উক্ত দলিল দুটিতে সনাক্তকারী হিসাবে স্বাক্ষর করে। সেই থেকে আমরা প্রায় ৩৬ বছর ধরে উক্ত জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে যাচ্ছি। বর্তমানে আমাদের নামে মিউটেশান খতিয়ান সৃষ্টি হয়েছে। যার উপর চেক দাখিলা গ্রহণ করেছি। কিন্তু মায়ের বিক্রিত উক্ত জমি জবর দখল করতে ফুফাতো ভাই হাফিজুর বিভিন্নভাবে পায়তারা করতে থাকে। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আমরা বিজ্ঞ আদালতে ১৪৫ ধারায় আদেশ প্রাপ্ত হই। কিন্তু হাফিজুর উক্ত আদেশ অমান্য করে তৎকালীন আওয়ামী সন্ত্রাসী দিয়ে ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসে জমিটি জবর দখল করে নেয়। এছাড়া তার সহযোগি হিসাবে তঞ্চকী পূর্ণ কাগজপত্র তৈরী করে উক্ত দাগের মধ্যে ৭০ শতক জমি নাছিমাবাদ গ্রামের ধোনাই গাজীর ছেলে আমীর আলী একই ভাবে দখল করে নেয়। আমরা বিষয়টি আশাশুনি থানাকে অবহিত করলে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী শালিস বৈঠক বসে। কিন্তু সেখানে তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে না পেরে পরবর্তী দিনের আবেদন করে। কিন্তু ধার্য দিনে তারা হাজির না হয়ে উক্ত জমি সেইভাবে জবর দখল করেই আছে।
এই হাফিজুর জিনের বাদশা সেজে বিভিন্ন সময় সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
আমরা পাঁচ জন মহিলা মিলে আমাদের সম্পত্তি রক্ষা করতে না পেরে সমুদয় সম্পত্তি আশাশুনি গ্রামের তুহিন সরদারের নামে লীজ প্রদান করেছি। লীজ গ্রহীতারা জমিতে গেলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে জবর দখলকারীরা। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর প্রতিকার চেয়ে আমাদের ন্যায্য জমি যাতে ফিরে পেতে পারি তার ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।