দেবহাটা প্রতিনিধি ::
দেবহাটায় জোরপূর্বক ফিল্মি স্টাইলে ছেলের সন্তানকে কেড়ে নেয়ার বিচার দাবী করে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার ১৫ মার্চ সকাল ১১টায় দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবে উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনটি করেন দেবহাটা সদরের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে বরকত আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,
তার ছেলে আব্দুস সালাম (৩০) এর সাথে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার পাইথালী গ্রামের মোঃ আজিজুর রহমানের মেয়ে আরেফিন নাহার (২২) এর গত ইং ০৮/০৭/২০১৯ তারিখে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাদের সাংসারিক জীবনে ফাইয়াদ আব্দুল্লাহ ছোয়াদ নামে একটি পুত্র সন্তান হয়। যার বর্তমান বয়স ৩ বছর ৫ মাস। সন্তান হওয়ার এক বছর বা তার কিছুদিন পরে ছেলে তার পুত্রবধু ও সন্তানকে নিয়ে জীবিকার উদ্দেশ্যে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজে যায়। সেখানে কাজ করাকালীন পুত্রবধু ঐ কোম্পানির এক সুপারভাইজারের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি তার ছেলে বুঝতে পেরে তাদেরকে ও ছেলের শ্বশুর শ্বাশুড়িকে জানাই। কিন্তু ছেলের শ্বশুর শ্বাশুড়ি তাদের মেয়েকে শুধরানোর পরিবর্তে তার ছেলেকে নানারকম বাজে কথা শোনায়। উপায়ন্তর না পেয়ে তার ছেলে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। কিন্তু তখন তার বৌমা আমাদের বাড়িতে না থেকে তার সন্তানকে রেখে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। সেসময় থেকে তার ছেলের পুত্র সন্তানটি তাদের বাড়িতে থাকে এবং তারা তাকে আদর যত্ন দিয়ে লালন পালন করতে থাকে। তার কয়েকমাস পরে পুত্রবধু তার স্বামী অর্থ্যাৎ তার ছেলেকে তালাক প্রদান করে এবং পুত্রবধুর ছেলেকে ফিরে পেতে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পি,টি নং- ১৩৯/২০২৫ (আশাশুনি) ১০০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। গত ১৩/০৩/২৫ ইং তারিখে উক্ত মামলার শুনানি ছিল কিন্তু বিজ্ঞ আদালত সেদিন না বসার কারনে শুনানি হয়নি। আগামী এপ্রিল মাসের ৬ তারিখে উক্ত শুনানির দিন ধার্য্য আছে। বরকত বলেন, কিন্তু ঐদিনই অর্থ্যাৎ ১৩ মার্চ শনিবার বিকাল ৫টার দিকে দেবহাটা থানার একদল পুলিশ তার বৌমাকে সাথে নিয়ে ফিল্মি স্টাইলে তার বসত বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক তার ছেলের সন্তানটিকে নিয়ে চলে যায়। তারা এসময় আদালতের কাগজপত্র দেখালে এমনকি মামলা চলাকালীন কেন পুলিশ এমন করছে জিজ্ঞাসা করলে পুলিশরা তাদেরকে বলে থানায় যেতে। অথচ তারা থানায় যাওয়ার আগেই ছেলেটিকে তাদের কাছে দিয়ে থানা থেকে চলে যেতে সহায়তা করে। সেসময তারা জিজ্ঞাসা করলে সাদা কাগজে একটা জিম্মানামা কাগজ দিয়ে পুলিশ বলে ছেলেটিকে তার মা নিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় তারা নিরুপায় হয়ে থানার ওসি সাহেবের কাছে শুনলে তিনি বলেন এসপি স্যারের নির্দেশে ছেলেকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। বরকত প্রশ্ন রেখে বলেন, বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলাকালীন একটি শিশুর সাথে এমন আচরন করা কতটুকু আইনসিদ্ধ কাজ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বরকত আলী জানান, তিনি এবিষয়ে দেবহাটা থানার দায়িত্বে থাকা তালার এসপি সার্কেল মহোদয়কে জানিয়েছেন। তিনি এবিষয়ে সুবিচার দাবী করেছেন।