পলাশ কর্মকার ::
মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন কপিলমুনি অঞ্চলের মানুষ, মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে বাধ্য হয়ে দিনের বেলাতেও মশারী টানাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। মশার কামড়ে ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
মশা নিতান্তই ছোট একটি পতঙ্গ, অথচ এর মতো জ্বালাতনকারী কীট বিশ্বে আর নেই। প্রগৈতিহাসিক যুগ থেকে পুথিবীতে মশার অস্তিত্ব আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার প্রজাতির মশা রয়েছে। এর মধ্যে এনোফিলিস, এডিস, কিউলেক্স প্রজাতির মশা মানুষের জন্য ক্ষতিকর। মশার কামড়ে বিষাক্ত কয়েল ও ইলেকট্রনিকস গুডনাইট ও ব্যাট ব্যবহার অপরিহার্য্য হয়ে পড়েছে। গ্রাম এলাকায় সরকারিভাবে মশা নিধনের কোন কার্যক্রম না থাকায় ক্রমাগতভাবে মানুষ অসহায় হয়ে পড়ছে। মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে আগে রাতে মশারি টানাতো এখন দিনের বেলাতেও মশারি টানাচ্ছেন। মশার উপদ্রব ভয়াবহ হওয়ায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসিস বা গোদ রোগ, চিকুন গুনিয়া, জিকা ভাইরাস জ্বর, ইয়োলো ফিভার বা পীতজ্বর নামক মরণ ছোবলের আশংকায় প্রহর গুনছেন এলাকার মানুষ। শহর এলাকায় মশার উপদ্রব ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের ব্যবস্থা থাকলেও গ্রামাঞ্চলে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেই। শিশু ও বয়স্কদের পাশাপাশি কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া লেখায় ব্যাঘাত ঘটছে। বাণিজ্যনগরী কপিলমুনিসহ পার্শ্ববর্তী নগরশ্রীরামপুর, উঃ সলুয়া, নাছিরপুর, রেজাকপুর, কাশিমনগর, রামনগর, গোয়ালবাথান, প্রতাপকাটী, নোয়াকাটী, হরিঢালী, হরিদাশকাটী, কাজিমূছাসহ বিভিন্ন গ্রামে মশার উপদ্রবটা বেশী। বর্তমানে ধান আবাদের মৌসুম হওয়ায় এলাকায় মশার বংশ বিস্তারও বেশি হচ্ছে। এলাকাবাসী মশা নিধনে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।