পলাশ কর্মকার ::
ঈদ মানেই নতুন কিছু চাই, তা হোক পোশাক, কসমেটিক্স সামগ্রী, জুতা বা অন্য কিছু। রাত পোহালেই ঈদ। কপিলমুনির বাণিজ্যিক উপশহরে শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনার। এবার ঈদের কেনাকাটা মানেই বিদেশি পণ্যের চাহিদা সব চেয়ে বেশি। তবে বাজারের জুয়েলার্স গুলোতে খুবই নাজুক অবস্থা, তাদের তেমন কোন বেচাকেনা নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কপিলমুনিতে শাড়ি কাপড়, ছিট বিতান, গার্মেন্টস দোকান, কসমেটিক্স ও জুতার দোকানগুলোতে শেষ মূহুর্তে বেচাকেনার ভিড় জমাচ্ছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষেরা। তবে এ সমস্ত বিপনী বিতানগুলোতে পুরুষ ক্রেতাদের তুলনায় নারী ক্রেতাদের সংখ্যা বেশী। সাজ ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রভাত দেবনাথ জানান, এবছর রোজার প্রথম দিকে বেচা বিক্রি খুবই কম ছিল, তবে শেষ সময় এসে ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। তবে কেনাকাটায় নারী, শিশু এবং বিশেষ করে ফ্যাশন সচেতন তরুণীরাই এগিয়ে। সাধ আর সাধ্যের সঙ্গে মিল রেখে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আপনজনদের জন্য করছেন কেনাকাটা, তাই তো ক্রেতা-বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্য দিয়ে।
পোষাকের পাশাপাশি প্রসাধনী সামগ্রীর বিপনী-বিতানগুলোতেও ক্রেতাদের আগমন কোন অংশে কম নয়; এগুলোতেও ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এদিকে শহরের জুতা দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে পোশাকের সাথে মিল রেখে চলছে জুতা ক্রয়। এখন পর্যন্ত বেচাকেনা নিয়ে সন্তুষ্ট বিক্রেতারা। তবে দোকানদাররা জিনিসপত্রের দাম বেশি হাকছেন বলেও অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে ঈদকে সামনে রেখে জুয়েলার্সের দোকাগুলো এক প্রকার ক্রেতা শূণ্য।
কপিলমুনি জুয়েলার্স সমিতির সাঃ সম্পাদক সন্তোষ সরকার বলেন, ‘এবছর সোনার দোকানে ঈদে কেনাবেচা খুই কম, এক দিকে সোনার দাম বেশি, অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ফলে আমাদের ব্যবসা ভীষণ মন্দা যাচ্ছে।”