অনলাইন ডেস্ক ::
অনেক জল্পনা কল্পনার পর যাত্রীসেবায় খুলছে নতুন দুয়ার। বাঁচবে সময়। সাশ্রয় হবে অর্থ, কমবে যাত্রী দুর্ভোগ। মাইল ফলক সৃষ্টি হবে যোগাযোগ ক্ষেত্রে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী চিকিৎসা ভ্রমন ও ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ে পৌঁছাতে পারবেন গন্তব্যে। আর ১থেকে ২দিন পর খুলে যাবে রেলের নতুন দুয়ার। স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করবে যাত্রী। পদ্মাসেতু হয়ে ট্রেন পৌছাবে সুন্দরবন বা যশোর ও বেনাপোল।
পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন রেলপথ উদ্বোধন হওয়ায় আগামী ১ নভেম্বর ঢাকা থেকে ওই পথে ট্রেন চালাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ইতোমধ্যে যমুনা সেতু হয়ে চলাচল করা খুলনা ও বেনাপোল রুটের ২টি ট্রেন রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে চালাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনা পাওয়ার পর ট্রেন ২টি নতুন রুটে কোথায় কোথায় যাত্রাবিরতি করবে এবং কখন কখন ঢাকা, খুলনা ও বেনাপোল থেকে ছাড়বে তা জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক দপ্তারাদেশে তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, মহাপরিচালক কার্যালয়ের পত্রের আলোকে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫/৭২৬) ও বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচলকারী বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫/৭৯৬) ট্রেন ২টি রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু দিয়ে পরিচালিত হবে।
সেই হিসেবে আগামী ১নভেম্বর থেকে ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ (৭২৫) দিয়ে নতুন রুটে যাত্রা শুরু হবে। ওইদিন ট্রেনটি খুলনা থেকে ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে এবং ঢাকা পৌঁছাবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। অন্যদিকে ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে এবং খুলনা পৌঁছাবে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে। ট্রেনটি (৭২৫) খুলনা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে দৌলতপুর, নোয়াপাড়া, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
ঢাকা থেকে ফিরতি পথে ট্রেনটি (৭২৬) ভাঙ্গা জংশন, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া কোর্ট, পোড়াদহ জংশন, আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা হল্ট, কোটচাঁদপুর, মোবারকগঞ্জ, যশোর, নোয়াপাড়া এবং দৌলতপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
অন্যদিকে আগামী ২ নভেম্বর থেকে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ (৭৯৫) দিয়ে নতুন রুটে যাত্রা শুরু হবে। ওইদিন ট্রেনটি বেনাপোল ছাড়বে দুপুর ১টায় এবং ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। অন্যদিকে ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এবং বেনাপোল পৌঁছাবে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। ট্রেনটি (৭৯৫/৭৯৬) উভয় পথে ঝিকরগাছা, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, দর্শনা হল্ট, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
এর পরই সরাসরি ভারতের কলিকাতায় ট্রেনটি যাতায়াত করতে পারে বলে জানান রেল সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোল রেলষ্টেশন মাষ্টার জাকির হোসেন বলেন পদ্মাসেতু দিয়ে রেল চলাচল শুরুতে বাড়বে যাত্রী। সুদিন ফিরবে ট্রেনে। রেলে শোভন চেয়ার ৪৮৫টাকা স্নিগ্ধা আসন ৮০০টাকা ও এসি বার্থ১৪৪৫ টাকা ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ভাড়ার সাথে ভ্যাট সংযোজন হবে বলে জানান স্টেশন মাষ্টার যাত্রী ও স্থানীয়রা জানান, সড়ক রেল আকাশ নৌ-পথ সবক্ষেত্রেই হয়েছে উন্নয়ন। যাত্রী বান্ধন সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারা।