অনলাইন ডেস্ক ::
হেমন্ত ফসলের ঋতু। তাই কৃষকেরা ব্যস্ত থাকেন কাজে-কর্মে। সোনালি ধানের সুঘ্রাণে ভরে থাকে বাংলার মাঠ-প্রান্তর। কৃষক মেতে ওঠেন ঘাম ঝরানো সোনালি ফসল নিয়ে। সেই সঙ্গে শীতকালীন ফসলের প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করতে হয় এখনই।
তাহলে আসুন জেনে নিই কার্তিক মাসে আমন ধান সংরক্ষণে কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে-
মনে রাখবেন, ভালো ফলন পেতে হলে ভালো বীজের প্রয়োজন। আমন মৌসুমে নিজের বীজ নিজে রেখে ব্যবহার করাই উত্তম। যে জমির ধান ভালো ভাবে পেকেছে, রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ হয়নি এবং আগাছামুক্ত; সে জমির ধান বীজ হিসেবে রাখতে হবে।
এমনকি ধান কাটার আগেই বিজাতীয় গাছ সরিয়ে ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে, গাছের আকার-আকৃতি ও রং, ফুল ফোটার সময় ও শীষের ধরন, ধানের আকার আকৃতি, রং ও শুং এবং সর্বশেষ ধান পাকার সময় আগে-পিছে হলেই তা বিজাতীয় গাছ। এছাড়া সব রোগাক্রান্ত গাছ অপসারণ করতে হবে।
আমরা জানি, কার্তিক মাসে আমন ধান পেকে যায়। তাই রোদেলা দিন দেখে ধান কাটতে হবে। আগামী মৌসুমের জন্য বীজ রাখতে চাইলে প্রথমেই সুস্থ-সবল ভালো ফলন দেখে ফসল নির্বাচন করতে হবে। এরপর কেটে, মাড়াই-ঝাড়াই করার পর রোদে ভালোভাবে শুকাতে হবে।
শুকানো গরম ধান আবার ঝেড়ে পরিষ্কার করতে হবে। ছায়ায় রেখে ঠান্ডা করতে হবে। পরিষ্কার ঠান্ডা ধান বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। বীজ রাখার পাত্রকে মাটি বা মেঝের ওপর না রেখে পাটাতনের ওপর রাখতে হবে।
পোকার উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে হলে ধানের সঙ্গে নিম, নিসিন্দা, ল্যান্টানার পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে মিশিয়ে দিতে হবে। তাহলে সংরক্ষিত বীজ ধান ভালো থাকবে। আর বীজ ধান ভালো থাকলে পরবর্তীতে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
##