ডেস্ক রিপোর্ট ::
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের কোনো প্রভাব পড়েনি সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে। সাতক্ষীরা থেকে এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা পর্যন্ত নিরাপদ রুট হওয়ায় এ বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, ভোমরা বন্দরে অবরোধের কোনো প্রভাব না থাকায় আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। অন্য রুটে কিছু সমস্যা থাকায় ব্যবসায়ীরা নিরাপদ রুট হিসেবে ভোমরা বন্দরকে বেছে নিয়েছেন। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ থেকে ২০০টি পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করছে। আগের চেয়ে রপ্তানিও বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজন হলে পুলিশ ও বিজিবির টহলের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের জন্য বলা হয়েছে। তবে বন্দরে বা সড়কের কোথাও এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা না হওয়ায় আমরা টহল ছাড়াই পণ্য পাঠাচ্ছি।
ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব আহমেদ বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বন্দরটিতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৬১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় ৬৬ কোটি টাকা বেশি। যার প্রবৃদ্ধির হার ৩৪ দশমিক ২১ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, অক্টোবরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৫ কোটি দুই লাখ টাকা, যা গত অর্থ বছরের অক্টোবরে ছিল ৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫০২ টাকা। গত বছরের তুলনায় চলতি অক্টোবরে রাজস্ব বেড়েছে ২৪ কোটি ৭ লাখ ১২ হাজার ৪৯৮ টাকা। এছাড়া নভেম্বরের ৬ তারিখ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৫০লাখ টাকা।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার মো. এনামুল হক বলেন, অবরোধে দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে মালামাল আনা নেওয়া করতে ব্যবসায়ীদের অনেক ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। কিন্তু এ বন্দরে তেমন কোনো ঝুঁকি না থাকায় অন্য বন্দরের ব্যবসায়ীরাও এখন এ বন্দর দিয়ে মালামাল আমদানি-রপ্তানি করছেন। এটি অব্যাহত থাকলে এই বন্দরের রাজস্ব আদায় আরও বাড়বে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান বলেন, ভোমরা বন্দর ও জেলায় যেন কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছে। অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের আটকের জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের নিয়মিত অভিযান চলছে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। ভোমরা বন্দর এলাকায় টহলের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা আবেদন করলে, ভোমরা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য পুলিশের টহল টিম দিয়ে পণ্য পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
##