আশাশুনিতে দিনে দুপুরে সন্ত্রাসী স্টাইলে মৎস্য ঘের জবর দখল চেষ্টারর প্রতিকারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১২টায় আশাশুনি প্রেসক্লাবে সম্মেলন করেন শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড় গ্রামের ভূমিহীন আবুল কালাম আজাদ।
লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মহিষকুড় গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে অসহায় ভূমিহীন আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি একজন অসহায় প্রকৃতির মানুষ। তিনি গাজীপুর মৌজায় ৭৯২/২০০৯-১০ নং বন্দোবস্তকৃত মামলায় ২৬/১০/২০১০ তারিখে ৩৩৩৫ নং রেজিষ্ট্রি কোবলা দলিলে ৫০শতক জমি ভূমিহীন হিসেবে জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পান। যা ৩০৯ নং খারিজ খতিয়ানে তার নিজ ও স্ত্রী শাফিনা আক্তারের নামে রেকর্ড হয়। বন্দোবস্ত পাওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন যাবত তিনি শান্তিপূর্ণ ভাবে উক্ত সম্পত্তিতে মৎস্য চাষ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। সোমবার সকালে তিনি তার মৎস্য ঘেরে কাজ করছিলেন। এসময় স্থানীয় আবু হেনা শাকিলের নেতৃত্বে দিলীপ গাইন, নিহার গাইন, দিপংকর গাইন, গনেষ গাইন সহ ১০/১৫জনের একটি সন্ত্রাসী দল মৎস্য ঘেরে অনাধিকার প্রবেশ করে হামলা চালায়। এসময় মৎস্য ঘেরের দখল নিতে আবুল কালাম আযাদকে লাঞ্চিত ও মারপিট করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন আমার বন্দেবস্তকৃত জমি দিলীপ দিংদের দখল করিয়ে দিতে আবু হেনা শাকিল মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তার নেতৃত্বে ইতিপূর্বেও বহুবার জমি থেকে আবুল কালাম আজাদকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা এবং ঘেরের মাছ লুটপাট করে আসছিলেন। সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে আশাশুনি থানা পুলিশ ও প্রশাসনের সাথে যুবলীগ নেতা আলাউদ্দীন লাকী এবং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মুকুল হোসেন ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করা হবে বলে পুলিশ উভয় পক্ষকে থানায় যেতে বলেন। দিলীপ গাইন দিং প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্ন খ্যাতে প্রবাহের লক্ষ্যে শ্রীউলা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা লাকি ও তার ভাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মুকুল হোসেনকে নিয়ে মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্য মূলক ভাবে প্রপাগান্ডা চালিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করেছে। যা তাদেরকে মারাত্বক ভাবে মানহানী ও অপদস্তের সামিল বলে মনে করেন তিনি। প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সময় যুবলীগ নেতা লাকি ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মুকুল হোসেন ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আবু হেনা শাকিল স্থানীয় ভাবে এলাকার মানুষের মধ্যে দ্বন্দ সৃষ্টি করে আসছেন। আগামীতে যেন শান্তি প্রিয় শ্রীউলা ইউনিয়নের তিনি আর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাস বা ত্রাস সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আাকর্ষণ করেন তিনি। একই সাথে সন্ত্রাসী বাহিনীর কবল থেকে আবুল কালাম আজাদের চিরস্থায়ী বন্দেবস্তকৃত জমি রক্ষার্থে উক্ত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ গ্রহনের জন্য প্রশানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
##