ডেস্ক রিপোর্ট ::
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি ব্যাপকভাবে কমে গেছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসের (জুলাই-অক্টোবর) তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে মসলাপণ্যটির আমদানি হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে জিরার দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় আমদানি কমেছে। তাছাড়া উচ্চমূল্যের কারণে দেশীয় বাজারেও পণ্যটির চাহিদা কমেছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তা রাজিব হোসেন জানান, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বন্দর দিয়ে মোট জিরা আমদানি হয়েছে ৩৫৩ টন, যার আমদানি মূল্য ১২ কোটি ২০ লাখ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি কেজির আমদানী মূল্য ছিল ৩৪৫ টাকা। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ৯৭৯ টন, যার মূল্য ছিল ১৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজির মূল্য ছিল ১৭৯ টাকা। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আমদানির পরিমাণ কমেছে ৬২৬ টন, যা মোট আমদানির ৭০ শতাংশ কম।
ভোমর স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু বলেন, ‘গত অর্থবছরের এ সময়ের তুলনায় বর্তমানে ভারতের বাজারে জিরার দাম প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। ফলে সরকারী শুল্কসহ প্রতি কেজি জিরা আমদানি করতে হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায়। অনান্য খরচ মিলিয়ে দেশের বাজারে কেজিপ্রতি জিরা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। এ অস্বাভাবিক দামের কারণে ক্রেতারা ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। তাই চাহিদাও কমে গেছে। এ কারণে আমদানি সীমিত করেছি।’
সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারের মসলাপণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান মেসার্স মামা-ভাগ্না ভান্ডারের পরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি জিরার দাম ব্যাপক বেড়েছে। গতকাল তার প্রতিষ্ঠানে আমদানীকৃত জিরা কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেছে। গত বছরের এ সময়ে পণ্যটির দাম ছিল ৮০০-৮৫০ টাকা। দাম বেশি হওয়ার কারণে ক্রেতারা কম পরিমাণে কিনছেন। এ কারণে বিক্রি কমে গেছে।