এস,কে হাসান ::
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে আশাশুনি উপজেলা বিভিন্ন এলাকার নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। আর এই ভারী বর্ষণের ফলে কয়েক শ পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। সরজমিনে উপজেলার বুধহাটায় গিয়ে দেখা যায় বৃষ্টির পানিতে বহু পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে । সম্প্রতি অতি বৃষ্টির ফলে খাল—বিল সহ লোকালয়ের বসত বাড়ীর আঙ্গিনা বৃষ্টির পানিতে টুইটুম্বর হয়ে পড়েছে। বুধহাটা গ্রামের পূর্বপাড়ার কওমী মাদ্রাসা এলাকার প্রায় অর্ধশত পরিবার পানি বন্দী হয়ে মানবেতর জীবনা জাপন করছে। একই সাথে বুধহাটা পশ্চিম পাড়ার প্রায় একশত পরিবার, বুধহাটা ঋষি পাড়া ও খৃষ্টার পাড়ার প্রায় ৩০টি পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বদ্ধ পানি দূষিত হয়ে পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে শুরু করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এছাড়া বিষধর সাপ পোকামাকড়ের আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।
বুধহাটা পূর্ব পাড়ার একাধিক বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমাদের ব্যবহৃত বাথরুম পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই।
বুধহাটা পশ্চিম পাড়ার আব্দুল আজিজ বলেন, অতি বৃষ্টির ফলে বাড়ীঘর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা করা না হলে যে কোন মুহুর্তে তার বসতঘর সহ আশে পাশের কয়েকটি বাড়ীঘর ঢসে পড়তে পারে।
বুধহাটা ঋষি পাড়া ও খৃষ্টার পাড়ার একাধিক ব্যক্তি বলেন গত কয়েক দিন ধরে আমরা পানি বন্দি হয়ে আছি। ছোট বড় সাপ সহ বিভিন্ন পোকা মকড় বাড়ী ঘরে প্রবেশ করছে। রাতে পোকা কামড়ের ভয়ে ঘুমাতে পারি না। অতি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য জোর দাবী জানান তারা।
বুধহাটা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জুলু বলেন, টানা বৃষ্টিতে এই এলাকায় প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েকটা কাঁচা ঘর ভেঙে ও পড়েছে। তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। নদী খননের জন্য খালের পানি আর নদী পানি সমান সমান হয়ে গেছে যে কারণে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।
ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু বলেন মানুষের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে আমরা খালের মুখে দীর্ঘদিনের পলি অপসারণ করেছি এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছি।
নদী খননের ফলে নদীতে খুব বেশি পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। তাছাড়া এবার রেকর্ড পরিমানে বৃষ্টি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি অন্য যেকোনো ভাবে পানি নিষ্কাশন করে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে।
##