পলাশ কর্মকার ::
হরিঢালী ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল্যবান গাছ বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা বাসীর মধ্যে তিব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তদন্তপূর্বক গাছ কাটার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গেলে গাছ কাটার সত্যতা মিলেছে। হরিঢালী ইউনিয়নের ৭৫ নং দক্ষিণ হরিঢালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারপাশের সীমানায় বেশকিছু মেহগনি গাছ রয়েছে। ২৭ নভেম্বর স্কুল চলাকালীন প্রায় ৪০ হাজার টাকার মূল্যের একটি মেহেগনি গাছ কে বা কারা কেটে নিয়ে যায়। পরের দিন আরেকটা গাছ কাটতে শুরু করলে এলাকাবাসীর বাঁধার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। স্কুলের পাশের বাড়ির আফিল সরদার জানান, স্কুলের পিছনে বিরাট একটি মেহগনি গাছ বেপারীরা কেটে নিয়ে গেছে। এলাকার মান্নান সরদার জানান, হরিদাশকাটি গ্রামের জনৈক রুহুল আমিন বেপারী এই গাছ কিনেছেন। গাছটির বাজার মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা। তিনি আরো জানান, ঘটনার পরদিন আবারো স্কুলের পিছনে আর একটি মেহগনি গাছ ব্যাপারীরা কাটা শুরু করলে এলাকাবাসীর বাঁধার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল সাত্তার মোল্লা জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কারসাজিতে এই গাছ বিক্রি হয়েছে। তিনি আরো জানান, ম্যানেজিং কমিটিকে পাশ কাটিয়ে কৌশলে স্কুলের দাতা সদস্য বিষে দে ও এলাকার জনৈক সুমঙ্গল কে দিয়ে প্রধান শিক্ষক এই গাছ বিক্রি করেছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাধারানী দাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কে বা কারা রাতের আঁধারে গাছ কেটে নিয়ে গেছে। স্কুল চলাকালীন সময়ে গাছ কাটা হয়েছে আবার পরের দিন স্কুল চলাকালীন সময়ে আরেকটি গাছ কাটতে আসার ঘটনা জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অমর ঘোষের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে গেলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
##